তখন আমি দশম শ্রেনি, উঁচু ক্লাসে স্কুলে
তোর সাথে প্রথম দেখা ফ্রক বিনুনি চুলে...
লাগতো ভাল তোকে দেখে সুখ হোতো খুব  তোকে ভেবে
তোর ওই চপল চাহণ হরিণ চোখের নীরব ব্যাকুলতা
জানিনা তুই ভাবতি কিনা জানতে পারিনি যে।


তুই ছিলি ঠিক গোলাপ বাগের সদ্য ফোটা ফুল
কাল ভ্রমর হয়ে আমি ছিলাম যে মশগুল।
মনবীণায় বাজতো যে সুর অব্যেক্ত অজানা
ভাল লাগার আলতো ছোঁয়ায় আমি ছিলাম দিওয়ানা।
সাগরপারে সযতনে বালুর প্রাসাদ গড়ায় আমি ছিলাম মাতোয়ারা ,
স্বপ্নময় এক অলীক দেশে মগ্নমুখর আমার তখন ছিল আনা গোনা।


হারিয়ে গেলি সেই কবে তুই আমিও আপন পথে
ঝরাপাতা হয়ে ওড়া বৈশাখী এক ঝড়ে।
মনের মধ্যে আবছায়া তুই ধুসর ছবির ফ্রেমে,
কালের তরী বয়ে চলে আমায় নিয়ে খেলে।
আজ আমি সেই তোরেই দেখি তিনটি যুগের পরে
আমারই ঠিক সামনে বসে ঋষিকেশের পথে!


আমি এখন সাদা পাকা তুই ভারিক্কি ঘোমটা আঁটা  
ছেলেমেয়ে লালটিপ তোর গিন্নিবান্নি নকশি কাঁথা,
কতই লেখা পাতায় পাতায় শব্দ তো সেই অআকখয়
তোকে  তেমনিই ভাল লাগে আজও এত দিনের পরেও।
নাই বা তুই জানলিনা তা এই জীবনের পারে,
এমন রক্তরাঙা ঢলে পড়া বিষন্ন বিকেলে ....
------------------------------------
অমিতাভ (১০.৩.২০১৭)