অনেক তো হল , এস না একটু শোনো বসে,
হ্যাঁ হ্যাঁ তোমাকেই বলছি ওগো জীবন -
কত কিছুই না দেখালে তুমি এই পরিসরে,
বিগত বেশ কয়েক যুগের নিরিখে
পিছনে ফেলে আসা ওই পথের দুধারে পড়ে থাকা দুঃখ সুখের পটকথা,
ওরা সব রয়েছে পড়ে কেউ বা ধুলায় কেউ বা কোনও প্রাসাদ অলীন্দে।
আনন্দ উৎসাহে্রা ছিল ঠিক বিজুরি চমকের মত,
আর ছিল কতনা আষাঢ়ে মেঘ, বন্যা খরা, ছিল উত্তাল প্লাবন ধারা!
পারিনি তো কাউকেই ঠিক তেমন করে মানিয়ে নিতে।
আনন্দরা এসে খেলেছিল যখন তখন,
ভেবেছিলাম না জানি ওরা আরও কতইনা উদার !
হায় - পারিনি বুঝতে কোনওদিন ওরা যে হারিয়ে যাবে এমন করে
অকস্মাৎ এক ফুৎকারে, কিচ্ছুটি না ভেবে
আসবেনা ফিরে তারা আর কোনওদিন !
অনন্দরা ছিল ঠিক ওই বুড়িমার তুবড়ি বাজির মত
এই আলো কতনা হাজার তারা, ঠিক তার পরেই শুধু পোড়া ছাই!
আর দুঃখ ? সেতো যেন নিঃশ্বাস প্রঃশ্বাসের মত
লেগেই আছে লাগাতার বেতালের মত পিঠে চেপে বসে।
যেখানেই মনে হয় দুখের এবার বুঝি শেষ,
কিছুকাল পরেই হয় বাস্তব অনুভব -
হায় সেতো ছিল শুধুই এক ভুমিকা মাত্র, এবার তো আসল খেলা।


ওগো জীবন -
বন্ধু নাই বা হলে,
শেষের সেদিনগুলোতে অন্তত একসাথে চলার পথের পথিক তো তুমি,
তোমাকে একটাই প্রশ্ন আমার -
চলার পথে এই গোধুলী বেলায় বড় হতোদ্যম মন নিয়ে বলি-
কী পাও তুমি বলতে পার
এই অনিশ্চয়তা আর ব্যর্থতাগুলো দিয়ে অনিঃশেষ ?
মানবিক ঋজুতাগুলো একে একে সব ভেঙ্গে দিয়ে ?


বলোনা, বলোনা আমাকে জীবন তুমি এই বেলাশেষে -
যাওয়ার আগে একটিবার শুধু বলে যাওনা আমাকে ??
কেন প্রতিনিয়ত এই বিরুদ্ধতা কেন শুধু সংশয় পায়ে পায়ে এত বিপন্নতা ?
----------------------------------------------
অমিতাভ(৬.২.২০১৮) বাড়ি, দুপুর ২-৩০