কবরী কুন্তলে ...... ( ৩ )
==============


আমার পৌরুষের যত ঔদ্ধত্য উচ্ছ্বাস,
নিঃশব্দে লয়েছে আজ দাসত্ব তোমার
একি অনিন্দ অনির্বচনীয় সুখ মেখেছি সারা দেহে
সর্বাঙ্গ দিয়েছ ঢেকে এক মখমলি সুখের চাদরে
প্রতিটি তন্তু যার বয়নে তোমার ।


স্বর্গের সুখের ডালি দিয়েছ বিছায়ে
জোছনায় স্নান করা চন্দ্রিমা রাতে,
উন্মুক্ত করেছ দ্বার উভয় মধুভান্ডার
পল্লবিত ও’দেহের সুগন্ধ নিখারি ।


মন মদীরার সুধাপাত্রখানি লয়ে
সাজায়ে দিয়েছ তোমার অবর্ণনীয় ভোজনের ডালি।
চর্ব ,চুষ্য, লেহ্য, পেয় –কোনও অভাব ছিলনা তায়
স্মিত হেসে, দিয়েছ অঞ্জলি তারে ভোজনের লাগি।


আমিতো আমন্ত্রিত – আয়োজক তুমি
মুগ্ধ , হতবাক - তোমার রাজকীয় বন্দনায়
আপ্যায়নে , নিবেদনে
একান্ত সঙ্গোপনে ওই আবেদনে !!


কী অপূর্ব নেশা ওই মধু মদীরায়
সুরম্য পাত্রে রাখা অমৃত সুধায়,
স্বর্গ সুখে ভেসে যাই অলকানন্দায় ।


অতঃপর থরে থরে পঞ্চব্যঞ্জন –
সুস্বাদু লোভনীয় সৌন্দর্য অপার ।
রাজকীয় প্রাচুর্যের বিচিত্র সমাহার !


পারিনাই সবটুকু লইতে তোমার
এত বেশি উপহার দিয়েছিলে আজ ।


মাতাল করেছ তুমি রসবোধে বিনোদনে
হারিয়ে গিয়েছি আমি দুর্নিবার নিবেদনে ।
ক্লান্ত শ্রান্ত ঘর্মাক্ত , তৃপ্ত আমি আজ –
আমার পৌরুষের ঔদ্ধত্য লয়েছে দাসত্ব তোমার ।


বিনোদিনী, গরবিনী ওগো ওজষ্বিনী নারী
তুমি ছাড়া এ’পুরুষ বড় অসম্পুর্ণ আমি !!


দিও না সরায়ে মোরে ওগো নিও না সরায়ে
আমায় তুমি রেখো তোমার কবরী কুন্তলে ।
==========================
অমিতাভ (৩১।৮।২০১৪)সকাল ৭-০০