আমি অকুল বিষাদ সিন্ধু দিতে পাড়ি
চোট্ট সুখের ভেলায় ভাসতে পারি
আমি নিশী অরন্যে ঝিঁঝিঁ ডাক শুনে
একটু সাহস সুতোয় বুনে
মৃদু আলোতেও পথ চলতে পারি।


যখন সাগরেতে ঢেউ
বাতাসেতে তুফান
আমি তখনো মনের সুখে
গলা ছেড়ে ধরি গান,
যদি ঢেউয়েতে ভেলা হয়রে কুপোকাত
তবু করবোনা ভয়, সংশয়, আর্তনাদ।
আমি হাসির ছোটে
পেট ছিঁড়ে ফেটে
সুখের প্রতিটি ধুলি ঘেটে ঘেটে
পেরিয়ে যাই যত কষ্টের পাতা ফাঁদ।
আমি পৃথিবীর সুখ দেখব বলে
চির সুখটাকে এক পাশে ফেলে
ছিঁড়ে বেরিয়েছি মমতায় বাঁধা নাড়ী।


যদি সুখটাকে দেখ কাছে রেখে তুমি তবে
সে সুখ তোমার অঢেল মনে হবে,
আর দুঃখটা রেখে দূরে
চেয়ে থাক একই সুরে
অল্প সুখের আড়ালে তোমার
দুঃখটাই হারাবে।


জ্যোসনা রাতের হাজার আলোয় ঘেরা
চাঁদ বড় নাকি দূর আকাশের তারা?
যদি নিজ বিবেকে ভেবে দেখ তবে
হবে ঠিক আত্মহারা।
কেন চোখ মেললেই চাঁদটাকে দেখি আগে
যে তারার আকারে ক্ষুদ্র হাজার ভাগে!
কারন সেতো পৃথিবীর প্রেমে
আলোক ছড়ায় সদা ঘেমে ঘেমে
প্রতিটি প্রহর পৃথিবীর কাছে থেকে।


আমি কালো কালো মেঘে ঢাকা আকাশেতে
তীঘ্ন দু-চোখ সদা রাখি পেতে
দেখব বলে আকাশের নীল শাড়ী।