আমি শান্তির পিপাসী- তাই শান্তি খুঁজে দেশে- বিদেশে ঘুরি কিন্তু জগৎ জুড়িয়া কোথাও শান্তি নেই। ভুবনের যে কোণায় যায় নেশাকোর আর বাটপারীর ভিড় ছল-চাতুরির বদমাসের দল। যেথায় শামতি পাই হেথায় করি মম সালাম, হেথায় মম বাংলাদেশ।
এই যে সারা পৃথিবীতে দিনের পর দিন উঠছে নেশার প্রকার যুদ্ধের সমাহার এসব কেন? বিধি কি পৃথিবীতে পাঠানোর সময় এসব বলেছিল যে, হে মানব তুমি পৃথিবীতে গিয়ে আমায় ভুলে গিয়ে নেশা খাও,বিক্রি কর?লুট-তরাজ রাহাজানী কর? অলি-গলি রেল জাংশনের রিফউজির উপর অত্যাচার কর? সেই নারীদের পেটে জন্মাও যারজ সন্তান? তাহলে আজ দেশ জুড়ে ভুবন জুড়ে কেন এমন ঘটনা গঠছে? কে করছে এসব? তার মূল কারণ কি? তার মূল কারণ হছে নেশা। যেভাবেই হোক জাতির জন্য বিধাতাকে খুশি করিবার জন্য যুবক সমাজ রক্ষা করার জন্য এক ঢিলে সব পাখি যেন তিরোধান হয়।
এবার বোধয় সব ছল-চাতুরি দেশ জাতি হতে উঠে যাবে কারণ আমার কানে শঙ্খ ধ্বনি এসে বাঁজছে। সমুদ্রের বুকে যেমন অগনিত হাজার হাজার ঢেউ উঠে লহরে লহরে আজ বাংলাদেশে গ্রাম হতে বস্তি হতে রেল জাংশন হতে যত শক্তিমান যুবক ছিল সবাই গন্ডে গন্ডে হাতে শমশের নিয়ে আসছে। তারা নাকি মুক্তির জন্য যুদ্ধ করবে এই মরুর অনন্ত উত্তাপ ভেদ করে জল ঢেলে শ্বেতশ্বেতে ভিজে দিয়ে দুঃখের ভবের মাঝে সুখের মহা দরিয়া সৃষ্টি করে তুলবে বলে। এখন আর কোন ভয় নেই তাই সবাই মিলে শান্তির অভিযান চালিয়ে চলিল ফাঁসির মঞ্জে।আমরা শান্তি চাই, নেশার হাত হতে বাঁচতে চাই- আমরা দস্যুদের হাত হতে মুক্তি চাই- আমরা মুক্তির এবং শান্তি স্বাধীনতার গান গায়।
______________________________________________________________


গাহি শান্তির গান—
বিধি তুম ভান্ডার হতে শান্তি কর দান।
যে প্রভাত আশা গাইছি গান- মরন খেলা রণে
সেথা সুখ-শান্তি নৃত্য পূজা বন্ধু তোমার আয়োজনে।
আমি হয়তো চলে যাব-ছেড়ে পৃথিবী মায়ায়
সেদিন পরবে মনে বন্ধু! তোমার হৃদয়ে আমায়।
কায়া গড়া এ দেহ ঠুকে ঠুকে খাবে-মিশে ধূলিকণায়
আমি যে ছিলাম ওরে বন্ধু,তোমার আঙ্গিনায়।
শান্তির গান গাহি তাই বসে তোমার সনে
নৃত্য প্রভাত চিনার বৃত্ত-দীপ জ্বালায় আরাধনে।
স্বাধীনতার এ দেশ স্বাধীনতা কাঁদছে তবু গোপনে
নেশার বোতল আনিল তাই দুঃখ ভরা হৃদয়ে।
তুমি যখন কাঁদ স্বাধীনতা শান্তি আড়ালে
হিয়া মম তরঙ্গ খেলে দোলে, বসে বিরলে।
শান্তি আজ কোথা গেলে ভুবন ছেড়ে গৃহ
এক মুহূর্তে উলটে দিলে-সীমার নেত্রের স্নেহ।
চারদিক হাহাকার-কান্না কত দুঃখ ব্যাথা
সে গ্লানি আজ ভুলবে, নৃত্যে আসিল রণ হেথা।
লুকিয়ে গেলাম আমি শুধু- লুকানো বনে
রহিয়া গেলাম শুধু- মম কবিতার অভিযানে।


আমার ছিল না এতদিন- সত্যিকারের নেশা দূর
ওরে আজও দেখা যায় মাদক ভরা বঙ্গ পুর।
যুবক, তরুন শক্তি কেন রাখিলা তুলে চাঙ্গে
বাঁচিতে কি ভাল লাগে! হাতুরি পিঠে ভাঙ্গে।
রাখিয়াছ বাহু দিয়ে ভীরুর বাঁধন
তেড়িয়া মুক্তি সুখে সন্তান হারা জননীর কাঁদন।
ওরে এ কিসের কান্না স্বাধীন দেশে
ছল-চাতুরি করে চোষে খাচ্ছে কোন দস্যু বসে।
ব্যাকুল জননী—
জননী ঘুরে অন্ন চাহিয়া দোয়ার দোয়ারে
পান্তা ভাতেও দেয়নি কেহ লঙ্কা তবু পুঁড়ে।
আহ! তার ক্ষুধার কত রাহাজানী বিঁধে আছে
জল খেয়ে না পতি খেয়ে! এ জননী কেমনে বাঁচে?
তাই রোষে বিনিময় লক্ষ তরুন প্রাণ
জাগিয়া উঠিল ওরে এ কেমন মুক্তির গান।
সুজন, এখন তোমার নৃত্য জীবন সুখে বাঁধন
নতুন হাসি-উঠবে জেগে নূতন কাঁদন।
নতুন করে নতুন সাধন,মরন খেলা বনে
তাই, এ ধ্বনি উঠিল বেঁজে সুরে ধরে গানে।