অনুচ্চারিত কিছু শব্দের দূষিত অর্থ থাকে
যে শব্দগুলোর অর্থ লিপিবদ্ধ আছে কেবল,
জীবনযুদ্ধে পোড় খাওয়া মানুষের অভিধানে।
আঘাতে জর্জরিত কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের
চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাওয়া মানচিত্রের মতনই,
দলিতমথিত সত্তায় জন্ম নেয় সেই অভিধানের মলাট।
নির্লিপ্ত কণ্ঠে গেয়ে যাওয়া আবেগের গানে
এখন আর কোনো সুর নেই, নেই কোনো ছন্দ,
তবুও তা বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে মহাকালের গহ্বরে!
হাজার বছরের লালিত অবহেলায় পড়ে থাকে
শতচ্ছিন্ন লাশের মতন ঐ বিবেকের দায়ভার,
চেয়ে থাকে নির্লজ্জ চোখে, মানুষের মনুষ্যত্ববোধ।
আঁকড়ে ধরে থাকা ভরসাস্থল, দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সূর্য
সবকিছুই আজ মিলেমিশে একাকার হয়েছে,
আন্দোলিত স্বর্গের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষে করা নরকনামায়!
উপহাসের সুরে নিজেকে ধিক্কার জানায় অবিরাম
প্রতিনিয়ত ঠকতে ঠকতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া বুক,
তবুও নিষিক্ত হয় মৃত্যুগর্ভে উচ্ছ্বসিত জীবনের কান্না
মুছে যায় তখন, আঁধারে বিলুপ্ত প্রাচীন সব অধিকারের প্রলেপ।