তুমি যতটুকু ধীরে ধীরে আড়ালে যাচ্ছিলে,
ঠিক ততটুকু তীব্রতা নিয়ে হৃদপিন্ডের গভীরে কিছু একটা ভেঙে গিয়েছিলো।
অজান্তেই ব্যাকুল হয়ে রইতো দুই চক্ষু,
শুধু তোমারই দর্শন পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।
কদাচিৎ মস্তিষ্ক অগোচরেই নোনতা পানির ঝর্ণা বইতো।
শুধু তোমাকে দেখার আকাঙ্ক্ষায়।
হয়রান হৃদয় জ্ঞাত নয় উৎসে।


যখনই তোমার মর্জি হতো মন খুলে কাঁদাতে,
খুব করে কাঁদাতে।
যখই ইচ্ছে হতো তুমি হাঁসাতে,
প্রাণ খুলে হাঁসাতে।
যখনই ইচ্ছে হতো আমাকে নিজের সাথে মিশেয়ে নিতে।
করে নিতে একই স্বত্বা।
যখন ইচ্ছে হলো আলাদা করে দিলে,
ছাড়িয়ে নিলে নিজেকে।
খুব দূরে সরিয়ে নিলে।
শুধু তুমিইতো ছিলে এমন কেউ।
শুধু তুমিই ছিলে।


তোমার তরে আমার প্রার্থনার প্রেরণা হারিয়ে গিয়েছে।
যাকে নিয়ে পুরো দিবস বন্দনা তাকেও হারিয়ে ফেলেছি।
আমার সবকিছুই হারিয়ে গেছে শুধু তোমাতেই।
তোমাকে আমি চুরমার করে ভালোবেসেও আমি নিস্ব।
কেনো এতো এতো যন্ত্রণা!
খালি হাতে তো ফিরে আসার কথা ছিলোনা!
তবে কেনো আমি ফিরে আসতে হলো?


কাঁচের টুকরো, জ্বলন্ত কয়লা সবকিছুই
মাড়িয়ে যেতে পারি।
পান করে নিতে পারি সায়ানাইড।
চড়তে পারি শুলিতেও।
এই সবগুলো কষ্টও তোমার বিচ্ছেদ তুলনায় নগণ্য।
তবুও খন্ডে খন্ডে বিভক্ত কেনো এই হৃদপিন্ড!
শুধু তুমি একজনেতেই সর্বসুখ নিহিত।


কিভাবে তোমার দুঃখ মিটাই?
কিভাবে তোমাকে ভুলে যাই!
কিভাবে তোমার অস্তিত্ব মিটাই?
কিভাবে তোমার পিঁছু ছাড়াই!
বলো কিভাবে?
শুধু এই তুমিতেই তো আমার সর্বস্ব।


শুধুই তুমি
১৭/১০/২০১৭