অতঃপর সন্ধ্যা হয়েই গেলো,
ঘোর রঙের।


সেদিনও বিক্ষোভ এসেছিল-
কলের গানের জলতরঙ্গ সুরের মহড়ায়।


উদয়াস্তে সূর্য্যি নাকি পুব-পশ্চিমে,
কে যেন এক উদাস বাউল বলেছিল সুরে
সূর্য্য কি ঘুমায়,নাকি প্রেমী ঐ কোণে?
অস্ত- উদয় মিছে কথা-
জেগেই থাকে সূর্য্য;
শুধু সন্ধ্যা এলে ঘুরায় মুখটা তার বিরহী অভিমানে।


খুব রাত ঝরে-
মিছিল-স্লোগান,নাগদলের হিসহিসানি-
কেউ দেখেনি বেহুলা,কতোটাই কেঁদেছে
পতিভাসা জলে।
শুধু পিঙ্গল কষ্টগুলো বুকে ধরে
সিঁথেনের সিঁদুর ধুয়েছিল সে।


ঐ দেখ আজো পুরু-কালো মেঘ-
কালো বর্ণমালার রঙহরণের মহড়ায়,
ষোল মাত্রায় দাদরার বোলে ধর্ষণের তালে।
কোমর দুলানো বিছেয় নাচছে নারদ-
কামনার সুরে।


স্বাক্ষী ব্রহ্মা-
স্বরসতী মন্ত্রপুত পৈতে দিয়েছি গলে-
চলছে মন্ত্রপাঠ-
এসো মা স্বরসতী কন্ঠে কর ভর ,
বসতে আসন দিলাম মস্তকের উপর।
যেমন পূজা চাও
তেমনি পূজা খাও
কুজ্ঞান খাও মা-ঐদিকে অন্য আজ্ঞা-
মনষার আজ্ঞে।


আজো বাজছে কলের গান- জলনুপুরে
ত্রিপদী সুরে-
আড় বাঁশির অষ্টম মাত্রায় আসছে ভেসে-
আমি বাংলায় গান গা....সা ...রেমা....গা-
বাংলা পুষি অন্তরে।
দ্রাবিড়- আর্যদের
মহুয়ার মদির হাতছানি হে ডাবছে আঁধার-
কাটছে রঙের ঘোর-ত্রিভঙ্গ কানাই,
তবু কি বন্ধ্যা মায়া বন্দী ঘরে?