অবশেষে বিদির্ণ হলো রাতের পাঁজর,
সন্ধ্যার তৃপ্তচোখের চাওয়া,
আর শরীর ছুঁয়ে আসা অন্য ঘামের গন্ধে।

প্রলয়ের হুংকারে ছিন্ন করে ফুসফুস
প্রত্যাশার আঁচল ছেঁড়ে হূৎপিন্ড
স্বপ্ন আঁকা জীবন ভোলে স্বস্তির নিঃশ্বাস।

আমার চারপাশে মহাকালের শুণ্যতা,
পূর্ণতাহারায় প্রজন্ম বিশ্বাস,
আমি হাঁটুগাড়ী মাটির বুকে।
উর্ধ্ব দৃষ্টি সীমায় নীল,শুভ্রমেঘের উচ্ছাস,
উদাস আলোয় ভেসে যায় জীবন,
স্বপ্ন ভঙ্গের বিহ্বলতায় ঝরে যায় পাখির পালক।
তিরতির ঝরে পড়ে মহাকর্ষনে,ভোলে ওড়ার আয়ুষ্কাল,
জীবনের বিমূর্ত চিত্রায়ন।

কে জানে কবে লিখেছিল কুষ্টিপত্র
সময়ের ব্যবধানে গ্রহ করছে পেশী দর্শন,
সমতল রেখায় পড়ে অর্ধবৃত্তের টান,
বসনহীন অরিত্রী যাচে কৃষ্ণপক্ষের বসতি।
ক্লান্ত প্রাণে তাই চন্দ্রগ্রহের ডুব স্নান।