চল যাই গায়ে-
হারিয়ে যাই বন বাদাড়ে-
সবুজ শ্যামল রুপালী প্রকৃতিতে,
মুক্ত নীলিমা আকাশের নিচে-
নির্মল বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে দিবে,
অনায়াসে সুবাসও আছে।

ভাল লাগবে তিস্তার বাকে-
পালতোলা নৌকা যদিও গেছে কমে
এখন ডিঙ্গি চলে দ্রত, ইঞ্জিনে-
নিমিষেই পারাপার, এপাড় থেকে ওপাড়ে।
মাঝি-মাল্লারা এখনও মাছ ধরে-
হেই-ও হেই-ও করে নৌকা বাইচ চলে,
ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালি গানের সুরে-
দুপাড়ের মানুষগুলোকে একত্রিত করে,
শামুক ঝিনুক কিছু চোখে পড়ে খানিক দুরে
চিকমিক-চিকমিক করে বালুচর মধ্য-দুপুরে।

যদিও বধূ আসেনা কলসি কাকে নদীর ঘাটে-
স্যানিটারি ল্যাট্রিন, টিউবওয়েলের কারনে,
তবে সে আসে তার বরের সাথে-
হাত ধরে ক্লান্তিহীন হাটাহাটি করে
হাটুজলে নেমে ছুটোছূটিতে মাতে
টিকা-টিপ্লনি গল্প গুজব চলে-
সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা নেই মনের কাছে,
রাতের বিজলি বাতি আর আলোক সজ্জাতে।

কি যে ভাল লাগে!
বুঝানো মুশকিল না এলে,
বাদাম শরিষার ক্ষেতে যখন যাবে-
বটগাছ তলে যখন বসবে-
তখন বুঝতে পারবে,
মেলা বসে প্রতিদিন, সবকিছু পাবে-
স্মৃতি করে নিবে,
ভুলে যেওনা কোন মতে-
প্রেমিকা যেন থাকে তোমার সাথে।


১৮ পৌষ, ১৪২০
০১ ডিসেম্বর, ২০১৪
২৮ সফর, ১৪৩৫

ভালুকা, ময়মনসিংহ।