আমার মত করে অদ্যাবধি
আর কেউ কি ভালবাসে তোকে,
সেই ছোট্ট কালে-
তুই আর আমি যেতাম স্কুলে
দুজনে দুজনার হাত ধরে
ক্লাশেও বসতাম একই বেঞ্চে
স্কুল শেষে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে
খুটি মশলা আর পূতুলের দিতাম বিয়ে,
কখনও তুই হতি গোমটা পড়া লাল টুকটুকে বউ
আর আমি রুমাল হাতে তোর লাজুক বর,
আমি রাখতাম হাত তোর শরীরে
তুই-ও জড়িয়ে ধরতি আমায় ।

ক্লাশ সিক্সে ওঠে তুই গেলি বালিকা বিদ্যালয়
আর আমি তুলশীঘাট কাশীনাথ -
যাতায়াতের পথে কথা হত তোর সাথে
আঁগলে রাখতাম তোকে আমার মতন করে,
কাউকে কথা বলতে দিতাম না তোর সাথে,
এক দিন তো ধমক দিলাম ও-কে
তোর পিছু হাটছিল বলে,
কাগজের ফুল উপহার দিতে চেয়েছিল তোকে,
এভাবে কলেজ পেরিয়ে তুই গেলি বিশ্ববিদ্যালয়।

আমার হাত ছাড়া হলি-
ভালই করলি !
আমি তোর কে ?
আমি একটা নাদান ফেল করা ফিরতি পড়ুয়া ছেলে,
তুই এখন সাহিত্যের ছাত্রী ।
তোর সাহিত্যে তোর আর আমার মতন এমন উপমা কি আছে ?
- থাকলে জানাবি !
আগের মতন তোর মন কি আমাকে নিয়ে আর নাড়াচাড়া করে,
উথাল পাথাল ঢেউ তোলে সময় অসময়ে !
আমার মতন করে আর কেউ কি এত বেশি ভালবাসে তোকে !
কে- সে ?
তুই কি ভালবাসিস তাকে ?
ভালবাসা কারে বলে, আমাকে তুই শেখালে -
এই-তো সেদিন,
আমার হাতটি টেনে ধরে বলেছিলে -
আর একটু থাকনা কাছে আঙ্গুলে আঙ্গুল চেপে,
আবার কখন-ও বলতি- যা !
এমন করিস কেন, কেমন লাগে !!!
ছাড় !
যদি কেউ দেখে ফেলে !!

কবে তোর ছুটি-
কবে তোর পড়া শেষ হবে ?
কবে আসবে তুই, শুধুই আমার হয়ে ?


০২ মাঘ, ১৪২০
১৫ জানুয়ারি, ২০১৪
১৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৩৫

ভালুকা, ময়মনসিংহ।