কবি বন্ধু "নাইবা গেলো জানা" তার মন্তব্যে যাই লিখুক তা নিয়ে অত বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছি না, তবে  আমি তার উপদেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কবিতাটিকে দুইটি কবিতায় রুপ দিচ্ছি, প্রথম কবিতার নাম " দেশের রাণী" অপরপক্ষে
দ্বিতীয় কবিতার নাম "ছন্ন ছাড়া"
*** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** ***

প্রথম কবিতাঃ দেশের রাণী


তুমি জান কি!
তুমি অর্থনীতির কান্ডারি
তুমি অন্তরালের প্রবৃদ্ধি-
তুমি এখন বাংলাদেশের প্রথম রাণী,
যদিও তুমি মফিজের সহধর্মিনী
যদিও তুমি ফেলানির স্বামী,
যদিও তুমি অনাহারি মায়ের আশার বাণী
যদিও তুমি অজো পাড়া গাঁয়ের অশিক্ষিত অবহেলিত নর-নারী,
হয়ত তুমি সমাজপতিদের চোখে কলঙ্ক-কলঙ্কিনি
হয়ত তুমি নির্যাতিত কমল কিশোরি।

দুঃখ কর না বন্ধু বান্ধবি;
তুমি আরও কষ্ট কর
তুমি তবুও হাত পাতনা কার কাছে
তুমি সাহায্য কর শিল্পপতিকে,
তুমি বোঝা নও সমাজের কাছে
তুমি মাথা উঁচু কর-
তুমি ঋণি নও দেশের কাছে
তুমি দেশের মেরুদন্ড,
তুমি প্রাণ খুলে গর্ব কর-
তোমার তৈরি পোষাক পড়ে সভ্য মানব মানবি।।

      *****    *****   *****

দ্বিতীয় কবিতাঃ ছন্ন ছাড়া


পোষাক শিল্পের কর্মজীবনেও কি পাচ্ছ স্বস্তি!
তোমার ঠিকানা নর্দমা বস্তি
তোমার নোংরা খাবার পানি
তুমি রাত বারটার পর ফের বাড়ি
তুমি সকাল সাতটায় অফিসের জন্য তৈরি।
তুমি কখন রান্না কর?
তুমি কতটুকু ঘুমাও?
তোমার আল্লাদ, যৌবন?
একটু দেরি হলে চোখ রাঙানি,
শুনতে হয় অকথ্য অশ্লীল ভাষায় মা বাপ তুলে গালাগালি
অথচ তোমার শ্রমে শিল্পপতিরা সমাজে বেশ নামী-দামি।
তবুও তোমার দুঃখিনি মায়ের শুকায়না চোখের পানি
তবুও তোমার বোনের বিয়ের ফোঁটে না ফুল,
তবুও তোমার বৃদ্ধ বাবার কাটেনা চোখের ছানি।

শিল্পপতিদের বেশির ভাগ চাটুকার
দিচ্ছি ... দিচ্ছি ... সব দিচ্ছি _
শ্রমিক ফেডারেশন বড় দালাল,
আজও নেই কোন নিয়ম নীতি।
মহামান্য আদালত,
তোমার নিজের কিছু করণীয় আছে কী?



২২ মাঘ, ১৪২০
০৪ ফেব্রয়ারি, ২০১৪
০৩ রবিউস সানি, ১৪৩৫

ভালুকা, ময়মনসিংহ।