স্বাধীনতা! হে ব্যথিত স্বাধীনতা!
তুমি কি কারো একক সত্বা?
কারো চৌদ্দপুরুষের পৈত্রিক সম্পত্তি
ফেরি ওয়ালার হাওয়াই মিঠাই
নাস্তার টেবিলের খইয়ের মোয়া,
সতীনদের চুল ছেরা বাক-বিতন্ডা
না- কারো পকেটের গচ্ছিত টাকা!
তুমি কেনো হতে পারো না উম্মুক্ত
কেনো বুক ফুলে বলো না নিরপেক্ষ
আমি তোমাদের সকলের জন্য
তোমরা আর কেউ নও নগন্য।
স্বাধীনতা! হে কাঙ্খিত স্বাধীনতা!
তুমি আর কবে হবে স্বয়ং সম্পূর্ণ?
তুমি বেড়িয়ে আসো অন্ধ বদ্ধ কারাগার থেকে
ছিড়ে ফেলো শিকল ...
ভেঙ্গে ফেলো দেওয়াল ...
সে দেওয়ালের পুরুত্ব যতই হোক না কেনো!
মরু ভূমি-সাগর করো উর্বর।
তোমার কাছে কেউ নয় আপন পর
তুমি নও কারো দয়া দাক্ষিণের
তুমি নও মুখাপেক্ষি অন্যের।
তুমি শক্ত হও, তুমি আরো শক্ত হও
তুমি নও শুধু ক্ষমতাসিনের,
রাজনৈতিক ইস্যু বিরোধীদলের
কিংবা অন্য কোন নির্দিষ্ট মত-পার্থ্যকের,
তোমার কোন দল নেই মত নেই
তোমার কাছে সবাই সমান
সবাই তোমার সন্তান।
এত বছর পর আর করোনা কোন ভেদাভেদ
কিছু দুষ্ট ধৃষ্ট আগাছা অস্বাভাবিক নয়
- মানব সৃষ্টির আগে সৃষ্টি শয়তান
এখন আর পিছন দেখোনা শুধু সম্মুখ পথ ...
আজ তুমি সতেরো কোটি বাংলাদেশীর।
তুমি সত্যের-
তুমি অবিচল সত্যের
তুমি অন্যায়ের বিরুদ্ধের
তুমি মহাকাল মহাকাব্যের,
তুমি গ্রাম বাংলার, তুমি শহরের
তুমি নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্ত সকলের
তুমি অনাথের, তুমি ভিখারির
স্বাধীনতা, হে স্বাধীনতা- তুমি প্রতিটি মুর্হত্তের।।


১২ চৈত্র, ১৪২০
২৬ মার্চ, ২০১৪
২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৩৫


ভালুকা, ময়মনসিংহ।