আমার ইচ্ছে করে;
লালমাটির ঐ মেঠোপথ ধরে
তোমার তুলতুলে হাতটি চেপে,
বড্ড ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে
প্রজাপতিরা যেমন করে ...
বিচরণ করে আপন খেয়ালে
দু'চোখ যখন যায় যেদিকে-
রোদ-বৃষ্টি-ঝড় সব একাকার করে
গাঁয়ের এপ্রান্ত হতে ওপ্রান্তে
ভোমর যেমন ভোমরার সাথে।


তুমি যখন যাও কিছু আনতে;
শিম শসা বরবটি কপি ক্ষেতে
তখন আমার বড্ড ভয় লাগে
তুমি কেন একা যাও অতদুরে
কেন ডেকো নাও-না আমাকে-
আমি-তো সদা প্রস্তত তোমার জন্যে।
পাছে লোকে কিছু বলে
এ সংশয় কেন, কিসে!
তুমি-তো আমার আছ সাথে-
আর আমি? সে-তো তোমার কারনে
মরতেও দ্বিধা নেই কোন মূহর্তে।


জান তুমি? জানবে কি করে!
কথাই-তো বলনা আমার সাথে
লেখা দিলে, না-পড়ে, ফেলো ছিড়ে
যেন তৎক্ষনাৎ মেঘ নেমে আসে
তমার ঐ জোস্না মুখে
যেন চেননা আমাকে
যেন মুসাফির আমি তোমার দাঁড়ে!
এমন কি আজ বসেছ ভুলতে
তোমার সাথে আমার পূর্ব হতে
রক্তের যে সম্পর্কটি আছে!
-কাউকে বেশি ভাল বাসলে
সে বুঝি অমনি করে।


আমার আরও বড্ড ইচ্ছে করে
তোমার বাড়ি থেকে কিছু দুরে
যে "লালদিঘীটি" আছে
মহা-ধুমধামে ওর পাড়ে
একদিন একটা পিকনিকের আয়োজন হবে
সেদিন তোমার-আমার বন্ধু-বান্ধবিরা যাতে
সকলেই উপস্হিত থাকতে পারে।


তার আর একটু দুরে- "পীরের হাঠে"
যেখানে মেলা বসে প্রতি শেষ বসন্তে
যাবে তুমি সেখানে-
যাবে আমার সাথে,
আসব কি আমি তোমার বসন্তে?


জান- আমার আরও কি বড্ড ইচ্ছে করে!
তোমার বাড়ির পিছনে
যে বট বৃক্ষটি আছে-
নিঝুম একদিন ওর তলে বসে
শুধু একবার কোন সন্ধ্যাবেলাতে
তুমি আমার না-বলা কথাগুলো শুনবে,
আর মিনতি রইল তোমার কাছে-
যথাবিহিত একটা সঠিক জবাব দেবে
কেন আড়ি তোমার-আমার সাথে,
কী দোষ আমার, তোমার চরণে?
কেন তুমি আজ দুরে সরে-
কেন আস-না আমার কাছে
কেন খাওয়াওনা আমাকে তোমার হাতে,
তুমি না-খাওয়ালে আমার যে ভরেনা পেট
একথা জেনেও কেন যে করছ খামাখা লেট!
মানুষ শখ করেও তো খাওয়ায় ফকির মিসকিনকে
কেউ হয়ত আবার দয়া-দাক্ষিণের পরবেশে
তুমি খাওয়ানি কখনও কোন কাঙালকে?
- আমাকে না-হয় তাই মনে করে খাওয়াবে
শুধু একদিন শুধু একবার তোমার ঐ হাতে।।


রচনাঃ
১০/০১/১৯৯৬


প্রকাশঃ
০৬ বৈশাখ, ১৪২১
১৯ এপ্রিল, ২০১৪
১৮ জমাদিউস্ সানি, ১৪৩৫


ভালুকা, ময়মনসিংহ