আর... কত? কি কি হলে তুমি আমায় দেবে?
তোমার অন্তর-হৃদয়ের এককোণে ঠাঁই, একটা বিন্দু।
তোমার চোখের কোণের মণিকোঠা আমায় না হয় নাই দিলে-
ভ্রুর একটা পাতা-তো দিতে পারো!
পাতাটি রাখবো  লেমিনেটিং করে আমার এই বুক পকেটে-
ইচ্ছে মতন দেখবো তবে যখন তখন।
তোমার আঙ্গুল গুলো যখন আমায় ছুঁতে-ই দেবেনা!
নিশ্চয়ই নখ গুলো দিতে কোনো আপত্তি নেই,
ওগুলো-তো ফেলেই দেবে অবহেলায় অবলীলায় নর্দমায়-
আমায় দিও!
আমি ওগুলো যত্ন করে রাখবো আমার কাঁচের ফ্রেমে শো-পিচে
ইচ্ছে হলেই নাড়িয়ে দেখবো তোমায় ভেবে।
আর কি কি ফেলো তুমি, অবহেলায় অনাদরে ... ... ?
ওসব তুমি আমায় দিও, কোনোভাবে খবর দিও,  কুড়িয়ে নেবো-
মমি করে রাখবো আমি, আমার ঘরে- হৃদয় ভরে ...  
ভেবে নেবো এই–তো তুমি আছো আমার অনন্ত,
আমার এই বুকে- আমার হয়ে।


সোমবার
১৯ কার্ত্তিক, ১৪২১  
০৩ নভেম্বর, ২০১৪
০৯ মহররম, ১৪৩৬


ভালুকা, ময়মনসিংহ