সে যদি পারে-
আমি পারবোনা কেনো?
আমি পারবো-
আমিও যাবো চাঁদে, বানাবো নভোযান
খুরবো সমূদ্রের তলদেশ, খুঁজে-ই বের করবো,
সেথায় শান্তির নীড় গড়বো!  
আমি আকাশে বাতাসে ভাসাবো ঢেউ
সে ঢেউয়ে ভেসে যাবে সব অশুভ অদৃশ্য।


সে যদি পারে-
আমি পারবোনা কেনো?
আমি পারবো- পারতে আমাকে হবেই!
আমি তার চেয়ে কম কোন অংশে?
সেও মানুষ, আমিও মানুষ-
ব্যবধান শুধু রক্তের গ্রুপ হয়ত ভিন্ন!
তারও দু’টা হাত পা- আমারও তাই
সে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নেয়- আমিও নেই
সে চোখ দিয়ে দেখে- আমিও দেখি
সে ঠোঁট নেড়ে কথা বলে- আমিও সেভাবেই বলি
সে দেশকে ভালোবাসে- আমিও ভালোবাসি
আমি আরও বেশি ভালোবাসি!
দেশের জন্য প্রাণ দিতেও করিনা দ্বিধা-
রাজপথ করে দিতে পারি আমি, আমার রক্তে লাল গালিচা!
আমি বীরের সন্তান!
কোনো কিছুতেই নেই আমার অপারগতা,
বেছে নিতেও দ্বিধা নেই নিজের মরণ!
বদর যুদ্ধ,স্বাধীকার-ভাষা আন্দোলন তার প্রমাণ
একাত্তর নব্বই কত গণঅভ্যুত্থান!
আমি বিশ্বাস করি “আল কোরান”
যে কোরাণে আছে আদি অন্ত ...
পৃথিবী সৃষ্টি লগ্ন থেকে ধ্বংস।
মানব মহামানব জলধারা জলপ্রপাত
পাহাড়, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-গ্রহানুপূঞ্জ,  সমূদ্র ...।


সে যদি পারে-  
আমি পারবোনা কেনো?
আমিও পারবো- পারবো, আমাকে পারতেই হবে?
নিশ্চয়, নিশ্চয়, নিশ্চয়ই- আমি পারবো ...!
অযুত নিযুত নক্ষত্র গড়ে তবেই আমি ঘুমাবো ।


বুধবার
২১ কার্ত্তিক, ১৪২১  
০৫ নভেম্বর, ২০১৪
১১ মহররম, ১৪৩৬


ভালুকা, ময়মনসিংহ