আমাকে খুঁজতে তোমায় আসতে হবেনা রাস্তার মোড়ে দ্বি-প্রহর রোদ্রে
নদীর ঘাটে অ-পে-ক্ষা– অপেক্ষা করতে হবেনা ঘন্টার পর ঘন্টা
আমি সব সময় তোমার সাথে- সা-থেই থাকি, যেমনটি ভাবি আমি;
ছুঁয়ে দেখো তোমার দরজা, দরজার পর্দা, জ্বানালাকে দুরেই রাখো-
যেখানটায় হাত লেগেছিলো তোমার আমার আর বিশ্বাসের।
ছুঁইয়ে দেখো আলনায় সাজানো তোমার প্রতিটি পোষাক পরিচ্ছেদ
ওয়ার ড্রয়ার, ওয়াল কেবিনেটে লুকিয়ে রাখলে সেখানেও খুঁজে দেখো–
নিশ্চিয়ই পেয়ে যাবে আমায়! কোথাঁয় নাই আমার অস্তিত্ব!
একবার ভেবো দেখো দেখি- তোমার এমনকি কোনা একটা গ্লাস আছে
যে গ্লাসটাতে আমার বিন্দু মাত্র চুমক পড়েনি? আমি তো খুঁজে পাইনা,
আমার সব গ্লাসেই তোমার লিপস্টিকের রমরমা দিগল টলটল দাগ।
তোমায় মনে পড়ে যখন, তখন ছুঁয়ে দেখি; আমার চেয়ার টেবিল
যেখানটায় বসে তুমি গল্প-উপন্যাস পড়তে, কখোনোবা লিখতে কবিতা।
নিশ্চিয়ই পেয়ে যাবে আমায়! কোথাঁয় নাই আমার অস্তিত্ব!
চিরুনিটা ছুঁয়ে দেখো চুলে এলিয়ে দেখো -পেয়ে যাবে আমায়!
ঘরের বাহিরে একটু দুরে চোখ ফেলে দেখো মূকুল-আম গাছটার নিচে
কারা খেলছে লুকোচুরি, একজন ঝুটি অন্যজন নাসিকা টানাটানি।



বুধবার
০১ আশ্বিন, ১৪২২
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
০১ জিল হজ্ব, ১৪৩৬


ভালুকা, ময়মনসিংহ