কোন অধিকারে আমার ঠোঁট থেকে সিগারেট কেড়ে টেনে হেঁচরে ছুড়ে ফেলে দিতে চাও ডাস্টবিনে?
আমি তো ধুকে ধুকে মরতেই চাই তোমার বিহনে
আমায় তুমি ছুঁতে দাওনা তোমার হাত, তোমার হাতের আঙ্গু্‌ল, এমনকি আঙ্গুলের একটা নখ পর্যন্ত নয়
বরং তোমার দিকে তাঁকালে তোমার ওই নখ দিয়ে আমার চোখ ফেলতে চেয়েছ উপড়ে,  
তবে কেনো আজ মিছামিছি জড়াতে চাও আমায় তোমার মায়ায়।


কোন অধিকারে ফিরে নিয়ে আসো আমায় ডোবায় ঝাপ দেওয়ার পূর্ব মূহর্ত হতে
আমি তো মরতেই চাই ডুব দিয়ে এক নিঃশ্বাসে তোমার বিরহে।
যেখানে আমার এই বুকে তোলপাড় করছে সাত সাগরের ঢেউ
সেখানে আজ তোমার নদির জল আমার কাছে খেলনা ছাড়া কিছুই নয়।


কোন অধিকারে তুমি ভালো মানুষ হতে বলো আমায়
আমি তো অনেক আগেই হয়ে গেছি শেষ
পর- পর- কতবার তোমার কাছ থেকে কত হীন- প্রত্যাখান
ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পর্যন্ত করোনি গ্রহণ,
লাল গোলাপের পাপড়িগুলো আমার-ই সন্মুক্ষে চূর্ণ-বিচূর্ণ, ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে তোমার পদতলে করেছ নিঃচিহ্ন।
আজ সেই তুমি আমায় বলছ আমি কেনো নেশা গ্রস্থ!


কোন অধিকারে কার মসনদে বসাতে চাও আমায়
আমার মসনদ তো গোড়াতেই ভেংগে চুরমার, পুড়ে ছারখার, নস্যাৎ করেছে তোমার উদাসিনতা-  
আজ তা ধূলিকণা ছাই মেঘ বৃষ্টি মরু ধূ-ধূ প্রান্তর।


মানুষ মরে গেলে তাকে কি আর পারা যায় ফেরাতে- বড় জোর দুই এক মাস লাশটাকে রাখা যায় মমি করে।