ভোরের সূর্য, রক্তাক্ত ও লাল,
এই লালে ছেয়ে গেছে দূরের আকাশ।
আমার মনের আকাশটা নীলিমায় আচ্ছাদিত
অনেক দিন হলো-
মনের আকাশে খোশ উচ্ছ্বাসে ঘুড়ি উড়াই নি,
আজ উড়াব।
তবে আমি একা নই,
আমার সাথে আছে অপেক্ষারত,
শত প্রতিকূলতায় সে জর্জরিত,
স্বরবর্ণের দ্বিতীয় বর্ণে নাম শুরু যার,
তাকে নিয়ে মনের আকাশে ঘুড়ি উড়াব।
কল্পানায় গিয়েছিলাম ডুবে,
আমার ভালবাসায় বিশ্বাসের কোন কমতি নেই,
নেই কোন মিথ্যা ছলনা,
তবুও হায়! দিন কেটে যায়, তাকে বিনা।


আমি আর কল্পনার অপরাজিতা
আমি এক কোটি বছর ধরে ভালবাসি,
আমার প্রতিটি অস্তিত্বে সে আছে মিশে,
চোখ বুজলে তাকে দেখি,
মনের আয়না তাকে দেখি
তাকে ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারি না।
আজ সে শাড়ি পরেছে,
হাতে তুলে নিয়েছে কাব্যমালা
উড়ছে তার শাড়ির আঁচল,
তার খোঁপায় বেলী ফুলের মালা,
হাতে হাত পথ চলা।


অপরাজিতা আমার প্রিয় একটি নাম
অবশ্য তারও একটি নাম আছে,
স্বরবর্ণের দ্বিতীয় বর্ণে তার নাম।
চলছে আমাদের ভালবাসার উপাখ্যান,
একটু রোমান্টিক কথোপকথন,
- কি করছো অপরাজিতা?
- তোমার কবিতা পড়ি, আনিছ।
- কোন কবিতাখানি?
- তোমারই অস্তিত্বে মিশে আছি।
- তোমার হাতটা ধরি।
- ধরো, কে মানা করেছে?
- আমি যদি আর নাই বা থাকি.....


দুজনের চোখে জল।
আমি ও অপরাজিতা-
একে অপরে চোখের জল মুছি।
আমি অপরাজিতার কোলে মাথাটা রাখি,
আর কল্পনায় কথা বলি।
স্তব্ধ চারিপাশ,
শুনশান নিরবতা,
জোনাকিপোকার আলো,
চাঁদের আলোয় মাতোয়ারা,
আর কাব্যটি উৎসর্গ করি,
স্বরবর্ণের দ্বিতীয় বর্ণের নামে,
দুজনই যেন অপেক্ষারত,
একটু ভালবাসার মধুর টানে।