শুনতে ভারি মজা, রাগকে দেব সাজা ।
আর কান্নাটাকে ভুলিয়ে দেব, শোনাই একটা ছড়া ।
রেগে কেন ? একটু হাস, জালাই অমি ? "ভালবাস ?"
শুনেই দেখ মিনিটখানেক, গল্পটা বেশ ভারী ।


সুকুমারকে মনে আছে ?
লিখত হাসির নানান রকম, ওলট-পালট সুকুমার রায় ।
কাতুকুতুর সেই কবিতায়, খুব হাসাত ছোটবেলায় ।
এখন আমি বুঝতে জানি, তাই হয়ত অভিমানী ।
বলছি কী সেই ছোটবেলায়, চলনা ঘুরে আসি ।


রবি ঠাকুর মনে আছে ? ছোট নদীর খুব কাছে ।
নাহয় একটু ঘুরেই এলে কদমতলার বাঁয়ে ।
এই মেয়ে তোর রাগ হয়েছে ?
নজরুলকে ডেকে দেব, আর দেবে রাগিয়ে ।
লিচু চুরি করেই নিবি, ইচ্ছে যদি হয় ।
কিযায় বা আর আসে তাতে, কিসের এত ভয় ।
ইলসেগুড়ির ছ্ন্দ দিয়ে,
সত্যেন্দ্র যাদু নিয়ে, সব অভিমান ভুলিয়ে দিয়ে ;
বসব সাথে দুজনেতে মাইকেলের পাশে ।
শুনব যত আত্মবিলাপ, মিত্রাক্ষর ছন্দে ।
বঙ্গভাষায় শুনব সবি, পড়বনাক দন্ধে ।


তারপর খুব ইচ্ছে হলে, জীবনদাকে ডাকব ;
হাজার বছর নইবা হল, একশ বছর বাঁচব ।
এই মেয়ে তুই আবার কাঁদিস !
সুভাসদাকে ডাকব ? শক্তিদাকে ডাকব ?
সুনীলদা বা সুকান্ত ।
সব অভিমান ঝলসে দেবে শক্ত পাথর ভেঙে ।
ছেলেটা খুব ভুল করেছে, ভুল হয়েছে কান ধরেছে ।
এবারতো তুই একটুখানি হেসে দেখাস ভারী ।


শঙ্খদাটাও আসতে পারে, জসীম মীয়ার ফুলবাজারে ।
নাহয় একটু শুনেই দেখিস নকসী কাঁথার গল্প ;
ছোটবেলায় নাহয় একটু ফিরেই গেলি অল্প ।


এখন তো তুই অনেক বড়, অনেককিছু বুঝতে পারিস ;
চোখে কালো চশমা পরিস, হাতে লাগাস নখপালিস ।
তাইতো সবাই হারিয়ে গেছে, বসেনা তোর পাশে ।
আমি আবার কবি হলাম শূন্যতারি বশে ।


নিয়ে যাব অনেক দুরে আঁকাবাঁকা পথটি ঘুরে,
মান অভিমান রাগগুলোকে, পাখির খাঁচায় ভরে ।
ডাকব আবার সব কবিকে, তোমাদের ওই জলসাঘরে ;
রবি কবি শোনাবে গান, বসিস চুপটি করে ।


এই অভিমান আসবিনা আর !
সব কবিরা করবে তাড়া, আবার যদি আসিস ;
মান অভিমান অনেক হল, এবার একটু হাঁসিস ।
ছোট্টো তুমি, ছোট্টো আমি, আবার হয়ে যাই ।
শুন্য সময় অসময়ের, বন্ধু ফিরে পাই ।
কথা দিলাম কাঁদব না আর, রাখব তোমায় মনে ;
শুন্যতারই পাশে বসে একটুখানি অবকাশে,
রাখব কবি তোমায় আমি বুকেরই মাঝখানে ।