মেঘের দেশে আষাড় এসে উতাল হাওয়ার এক পরশে,
আকাশটাকে ছদ্দবেশে আঁধার ঘনায় দিনের শেষে ।
ডাক দিয়ে যায় বাসতে ভাল রাতের কালোয় দিনের আলো,
অতীত স্মৃতির পুঞ্জ তুলোয় আবার প্রেমের আগুন জ্বালো ।


অন্ধ ঘরে বন্ধ কবি আঁগুল খোচায় কলম নাড়ে,
ছন্দ নিয়ে দন্দ হেথায় অচিন পাখি সুধায় তারে,
একোন তুমি মেঘবালিকা আমায় এমন উদাস করে,
কাজের খাতায় ব্যস্ত বালক মেঘদুরতার স্বপ্নপারে,
সেথায় বালক অস্থিরতায় অভিমানীর বন্ধ নীলয়,
উপেক্ষিত অলিন্দতে স্বপ্নপরী অন্ত মিলায় ।
এইখনেতে শেষের শুরু প্রতিক্ষাতে স্রোতস্বিনী,
ওইকুলেতে শ্রান্ত যুবক এইকুলেতে কাজলীনী ।
কল্লোলীনীর মাঝদরিয়ায় ভেলায় ভাসি ভাবুক কবি,
অন্তমিলের ছন্দ খুজে আবার তুমি নতুন রবি ।


তুমি আমার ম্রিদুল বাতাস তুমি আমার বারির ধারা
তোমার স্রোতে দাও ভাসিয়ে জটিলতার বন্ধ কারা ।
আজকে শীতল শ্রাবন দিনে সাদা মেঘের লুকোচুরি
দুইজনাকে উড়িয়ে নিয়ে প্রেমের পাখির লাটাই ঘুড়ি


এই কবিতায় তোদের দিলাম একটুখানি অবকাশ
সে আমার শ্রাবন হলে তুই আমার আষাড় মাস ।
জলের ফোটায় দারুন ভিজে আবার সবুজ দূর্বাঘাস
বর্ষা আমায় আবার দিল তোদের প্রেমের পূর্বাভাস ।


এই কবিতার পাঠক যারা অবাক হয়ে ভাবছ বসে
আঁতেল কবি লিখছে বোধয় পাগল হয়ে দিনে শেষে ।
এই কবিতা তোদের দিলাম তোরা আমার বন্ধুবর
অন্তশেষের অন্তরালে সংকলনের সৃ্স্টি কর ।
সময়ঘড়ির একটি পাতায় একা ভীষন অবহেলায়
সঙ্গী করে সঙ্গে আমায় হাতবাড়িয়ে অবলীলায়,
ধন্যবাদের সম্বোধনে আমার প্রিয় দুইজনায়
আবার করি বর্ষাবরন গাঙের তীরে অঞ্জনায় ।