বড় সাধ  ছিল রে চাঁপা,
ই-বার দুগগা পুজোর সময় তুকে একটা লাল টুক-টুকা
শাড়ি কিনে দিব।
ই বছর তুকে আর ছেঁড়া টেনার লাগে পুজোর দিন গুলায়
ঘরে বসে কাঁদতে দিবকলাই।
ই বছর ফসল ভাল হইঞ্ছে বটে।
ফি বছর মোর ছিলাটাও গামছা গায় বাবুদের বাড়ি
দরজা থিকা ঠাকুর দ্যাখে,
ই বছর উহাকে একটো জামা কিনে দেব বটে আর
তুকে একটা গন্ধ তেল তুর চুলে সুন্দর
বাস ছাইরবে, লাল টুক-টুকা শাড়ি পরে এল চুলে
তু মোর গোপাল আর হামি একসাথে
জমিন্দার বাড়িতে ঠাকুর দেখতে যাব।


কিন্তক গরীবের ছুটো স্বপন পূরণ করার সাইধ্য
মনে লয় ভগবানের ও নাই।
বন্যায় মোদের ফসল, মোদের মাথা গোঁজার ঠাই তো
কাড়লেই, মোর ছিলাটোকেও ভাসায়ে নিলে।


মা কি এত লিসঠুর হয় রে চাঁপা ? মাকি সন্তানের
বলি চায়?
ইবার যদি মা জমিন্দার বাড়িতে আসেন, তাকে হামি
শুধবো – বুলব হে মা তু কি সন্তানের বলি চাস বটে।
তো  তু উহাদের খতম করছিস লাই যারা রোজ বোমা ফুটায়ে
শয়ে শয়ে মানুষ মাইরছে।
তু তো মরুভূমিতে এক টুকান জল দিছিস লাই.
মুদের উপর তুর এত রোষ ক্যানে মা। ভুকে তো আমরা
খেতে পেলেও ডাইকছি না পেলেও আরও বেশি করে ডাইকছি বটে,
তবু তুর মন এত কঠোর ক্যানে রে মা তু-কি শুধুই বড় লকের মা
তু-কি শুধুই পাথর , তু-র চোখ লাইরে তুকি হামদের
দুঃখ দেখতে লারিস নাই?