ঃ  হ্যেলো! কেদার সিং! রেইপ-কেইসের ফাইলটা তো তোরই কাছে ;
     জানিস-  আমাদের লোক জড়িয়ে আছে;
     তাছাড়া, সামনে নির্বাচন-
     দেখবি- বিপক্ষ ঘোলা করতে পারে জল ; তাই করছি সাবধান!
  :  ঠিক আছে, স্যার ।


ঃ  ডাঃ বিশ্বাস! ওসি’র সাথে কথা হয়েছে নিশ্চয়-
     পরিষ্কার হ’ল তো বিষয় ?
     রিপৌর্টটাও একদম, হবে- ঐরকম ।
::  হেঁ হেঁহেঁ -  ওটা ঠিক হয়ে আছে ;
     এ নিয়ে কিছু বলতে হবে না- অন্ততঃ আমার কাছে।


ঃ  হ্যেলো! বলুন তো মশায়-
     আপনি কিন্তু খামকা যাচ্ছেন ঝামেলায় !
     তাছাড়া- জানে সকলে, মেয়েটার চরিত্র বলে...
:::  ব্যাস ! ব্যাস ! আর একটিও কথা না...
     আমার চোখের সামনে ঘটনা...
     জানে পাড়া-শুদ্ধ...  আমি দায়বদ্ধ !
ঃ (দায়বদ্ধ- ম্যেগট ! দুনিয়া করবে সাফ- হঠ্!)
     মনে রেখো- তুমি কিন্তু কিচ্ছুটি দেখো নি!
     নড়চড় করবে তো-  লাইফ হ্যেল...
     ঠিক আছে?


ঃ  হ্যেলো রথীন'দা- আমি অরিন্দম প্রধান-
     সমস্যাটার হয়ে গেছে একটা সমাধান!
     মেয়েটা মুচলেখার বয়ানে
     লিখছে- ও’ই স্বেচ্ছায় গেছে ওখানে...
     তাছাড়া আমাদের মহিলা সঙ্ঘ
     মিছিল বার করছে- শ্যামবাজার থেকে শহীদ মিনার-
     কমরেড রিক্তা লিড করবে- ঠিক আছে ?
:::: ঠিক আছে- মানে ! লোককে বানাবে বোকা !  কী ভাবো !
      তোমরা না সর্বহারা- ন্যায়-নীতিও...


     শেষ কল’টা ভুল নাম্বারে গিয়ে লাগে ।
     সদ্য দলত্যাগী কমরেড এম চক্রবর্ত্তী রেগে
     সজোরে রিসিভার রাখেন ফোনের ওপ্রান্তে;


     তারপর,
     বিড়বিড় করতে থাকেন-


  
     ...জীবনের তিন-তিনটা দশক গেল বেকার;
     শেষ কালে,  অআকখ থেকেই কি আবার...


      (রচনাকালঃ ৩১-০৩-১৯৯৮।)
      © পিসিএস ।




.