(দুই পর্বে সমাপ্য।)


সেদিন সকালে,(ড্রইং-পেন’এর) সীস খুঁজতে গিয়ে
ওয়ার্ড-ড্রোভ খুলেই দেখি- নেই একটিও ;
আর হোষ্টেলে থেকে থেকে
সেদিনটায় লাগছিল না ভাল- আরও ;
ভাবলেম- গিয়েই আসি মেডিকেলের কাছে;
ষ্টেশনারি সামগ্রী ঠেকেছে যে তলানিতে...
স্টপেজে এসে দেখি- বাস ছাড়বে, বাঁজছে বেল ;
হুড়োহুড়ি করে চাপলাম গাড়ীর স্লো-চালনা দেখে
ওঠেই দেখি মহিলাসনে বসে আছে- কে ;
অল্পতে টাহর হ’ল- জুনিওর, কলেজেরই-
স্মার্ট বটে, নয় নেহাত সুন্দরী ।
যে বেলাটায় বেরিয়েছিলাম, তখন গাড়ী যেত ফাঁকা
সে গাড়ীতে জেন্স বলতে আমিই তখন একা ;
চট করে গিয়ে বসলেম এক সিটে
ওরই বাঁ’এর সারিতে ;
রাস্তা ছিল খারাপ, তাই টার্ণ নিল গাড়ী
নড়তে নড়তে ।


গাড়ী যখন পেরোল তেমাথা
ভাবলেম- এবার শুরু করি কথা ;
কি দিয়ে শুরু করি বা কেমনে, অল্পে করি
অনেক কথা সারা-
তাই নিয়ে বাঁধলো মনে অনেক জটলা ।
...দেখেছিলেম প্রথম ওকে- এসেছিল কলেজ’এ এডমিসানে–
‘কথা বলবো’- রেখেছিলেম কথাখানা তখন থেকে মনে মনে–
সুযোগ হ’লে ;
আজ বলি- এমন চান্স কি আর দুটো মেলে?


হঠাৎ দূরের মাঠ থেকে এল হাওয়া দিলখোলা-
কেমনে স্মরিয়ে দিলে পুরনো সেই কথাখানা ;
পলকে বুকে হাত রেখে দেখি-
কেন- কী জানি, বেড়ে গেছে হৃদি-ধুকপুকোনি!


বাহিরের ঝাপটা হাওয়ার
অলক এল যবে ওর খোলে
সাইড-ব্যাগ’টা ডান পাশে রেখে চেনার ভঙ্গিতে
উঠলেম বলে-
‘‘চললি কোথা- আজ দেখছি একা!’’
ওর চোখ ছিল- দূরের গাঁ’এর যে অংশ টা বাঁকা
হেতা চৈতী রোদে করছে খাঁখাঁ ।
শুনে কথা চমকে বাঁকালে গ্রীবা
সে ঠেকলো সন্ত্রস্ত হরিণী কিবা’-
বললে– ককটেল'এর প্রান্ত নেড়ে–
‘‘এই তো– চলছি টাউনে-
আছে কিছু কেনাকাটা...’’
পরে সে একটু থেমে, বললে- আর আপনি ?
আসল কথা ছেড়ে- বললেম হেসে-
বৈরাগীর খুব চেনা আঁকড়াখানা-
               তাই না?  
রিলেটিভরা আছে- যাব  সাহবাজপুরে
এখান থেকে নয় খুব একটা দূরে ।’
                              (চলবে ।)



.