বকুলটার জন্য বড় দুঃখ হয় প্রায়শই !
খুন হয় সে একদিন রেল-লাইনের ধারে
মজে যাওয়া পুকুর পারে ।
কত নির্লজ্জ-বর্বরোচিত ঘটনা সে-
পুলিশ পর্যন্ত ঘাতককে ধরতে পারে নি
নাম বলে দেওয়া সত্বেও;
ক’মাস হ’ল তালাস চলছে...
অবশ্য সে মারা যাওয়ার পর
একটা হরতাল হয় সারা এলাকা জুড়ে ।
পাড়াটা পড়ে থাকে সে দিন
যেন প্রত্নতাত্ত্বিক ঘর ।


মৃত্যুহীন এই একটা ছেলেই
পাড়ার সবার খবর নিত ;
নূতন দিনের হেণ্ড-বিল দিতে এসে
আমার প্রতিবেশীটিকে ডাকতো
কোন বিকেলে- তুষার’দা, ঘুমোচ্ছেন ?


সুমুখের বহুতল বাড়ির এণ্টেনা ছুঁয়ে
আজও শুকনো জঞ্জাল-সম কালো-মেঘ
ঘিরে থাকে বাদলা রাতে ।
পুকুর পারের সেই নাগচাঁপা
এখনও কা’রে খুঁজে;  গন্ধ এলায় ;
প্রশ্ন হানে– এখনও ঘুমাও?
অভিকেন্দ্রিক ব্যথার প্রবাহ
কেন্দ্রাতিগ বেগে ঠেলে আমি
যখনই শুতে যাই আমার তমসায়,
দূঃস্বপ্নেরা  এসে ভর করে !
জেগে ওঠি যখন সহসা,
শুনি সেই-


তুষার’দা, ঘুমোচ্ছেন ?


(SAD15112001)  





.