করোনাকাল


কেমনে কাটছে দিবারাত্রি!
নৈ:শব্দের অব্যাকুলতা ঘিরে আছে চারিপাশ
প্রাণহীন উদ্দামবিহীন পৃথিবী ঘুরছে অবিরত; তবুও
অজানা অচেনা শঙ্কায় কম্পমান; অহরহ মানুষের মনে ত্রাস
নিজের গৃহেই নির্মিত এক দুর্ভেদ্য প্রাচীর!
পরস্পরের উষ্ণ পরশ যেন বরফসম শীতলতা
কিরণমালার কিরণআভা জাগাতে পারছে না সজীবতা
অপার তিমিরে ঢেকে গেছে ধরণীর বুক
অর্থহীন অর্থের পশ্চাদধাবমান মনুষ্যগণ
ঠুশিকাবৎ মুখোশের পশ্চাতে মুখ লুকিয়ে কেবলি
সমর জয়লাভের প্রচেষ্টায় নিজের পায়ে পরায়েছে বেড়!
পশ্চিমদেশীয় শিক্ষায় সুশিক্ষত বাবুদের ফতোয়া—
অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ী হবার একমাত্র কৌশল!!


এমনি করেই অতিবাহিত হচ্ছিল সময়কাল
আলাপ-বিলাপ-কৌতুকহীন জীবন; কেবলি
ত্রাহি ত্রাহি রব সর্বত্র।
মৃত্যুভয়ে জর্জরিত মানুষকুল খাঁচাবন্দী!
উন্মুক্ত দ্বার থাকলেও বাইরে যেতে যেন ঘোর অনীহা।


আরেকদল মানুষ—যারা প্রকৃত অর্থনীতির চালিকাশক্তি
সরকার নামক বস্তুটা যাদের সর্বদা শুধুমাত্র বাক্যবঞ্জনে তুষ্ট করতে ব্যস্ত!
বাঁচার এক অদম্য উচ্ছ্বাস যাদের কানে কানে বলছে,
ওরে,তোরা হাঁট
আর ওরা শুধু হেঁটে চলছে সেই সভ্যতার প্রথম সৃষ্টলগ্ন থেকেই
ক্লান্তিকর দেহে অক্লান্তের সন্ধানে
লক্ষ্যবস্তু অধরাই থেকে যায় অনন্তকাল
কী অদ্ভূত শোষণের যাঁতাকল!
করোনাকালে শোষণ যন্ত্রের সক্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলছে
তাইতো দেখি কখনবা কেবলি করতালি
কখনোবা রেশনের চালে মিশানো বালি।।


@ অনুপম