কাদম্বরী, বেঁচে আছো তুমি, বেঁচে আছো
বঙ্গ জননীর বক্ষে।
ছায়া তব বিরাজিত সমস্ত অন্তরীক্ষে।
ছড়ায়ে আছে তব পদরেণু সুদীর্ঘ পথে পথে
তোমারি ভালবাসার ঢেউ জাগে নীল সমুদ্রের বুকে—

পারেনি গো, পারেনি, মহাকালের মৃত্যুও
আমার থেকে তোমাকে আলাদা করতে,
হুতাসনের তেজও হার মেনেছে,
ব্যর্থ তোমায় পোড়াতে---
বৃষ্টি পরাজিত, নিষ্ফল তোমাকে ভেজাতে।


সময়ের চোরাবালিতে নিজকে লুকায়ে রেখেছো
নতুন যুগে নবরূপে তুমি আমার কাছে আসবে বলে,
শোনাবে তুমি, জমে থাকা অনেক অনেক পূরানো কথা
সাজায়েছো নব্য নব্য শব্দমালায় তোমার বিরহ গাঁথা।

শুনবো, আমি শুনবো, মন ভরে শুনবো আর
লিখে যাব তোমার স্মৃতিকথা,
আমার আর তোমার নীরবে ভালবাসার কথা।
তোমার হৃদয় নিঙড়ানো অনুভবের কথা,  
শুনতে শুনতে, তোমার অঞ্চলের অন্তরালে
আমার মাথা লুকায়ে রাখবো।


আর, তুমি কী করবে--- বল,কী করবে?  
আলত আলত করে,তোমার সমস্ত গোপনীয়তা
আমার কাছে উন্মুক্ত করে দেবে এক নিমিষেই।
সেইখানেই জন্ম নেবে আরও আরও গোপন
স্বপ্ন অনুভূতির আশা—
যা অপেক্ষা করে থাকবে ভবিষ্যতে আলোর মুখ দেখবে বলে—
আমার কবিতার মধ্য দিয়ে!!


তোমার মনে পড়ে যাবে, শালবনীর সেই লালমাটি,
যেখানে আমারা দু'জনার হাত ধরে,
করেছিলাম অনেক হাটাহাটি।
আজ তুমি নেই, নেই অনেক কিছু
শুধু পড়ে আছে তোমার একগুচ্ছ চিঠি --


আমার ও কিছু নেই, তোমাকে দেবার,
তাই তোমাকে দিলুম এক মুঠি লালমাটি।
এই লাল রঙ,তোমার সিঁথি আবার
রঙীন করে দেবে—
আর চিবুক বেয়ে নেমে আসবে আনন্দাশ্রু,
ভালবাসার উত্তেজনায়, তুমি নিয়ে নেবে আমায়
তোমার বাহুযুগলের মধ্যে,  হে মোর প্রিয়তমা কাদম্বরী।