কালোঘন মেঘে ঢাকা তারা, নিভৃতে কাঁদে সর্বহারা
শহর-গঞ্জ,পাহাড়-সমুদ্র দশদিকে দেখি রুধির ধারা।
দ্রোপদীর বস্ত্রহরণ, ধর্ষিতার হাহাকার;খবরের পাতাজোড়া,
রাবণের তরবারি,অসুর-বজ্রপাণি;জটায়ুর ডানা হারা।


চোখে বেয়ে নেমে আসে জল;নির্বাক-নিস্তরঙ্গ-নিশ্চল,
মানব রক্তে অপবিত্র জটাধারীর শির উৎসারিত গঙ্গাজল।
খুঁজে যাই খবর আমি,নিষ্পলক দিবস রজনী ধরি
মুমূর্ষু জিন্দা লাশের জলোচ্ছবি পূর্ণ হৃদয়ে স্মরি--


মৃত মাতার বক্ষে অনাহারী শিশুর নিষ্ফল গড়াগড়ি।
বিদীর্ণ হিয়া: ভাবে সদ্যজাত মানব সন্তান, এখন কী করি!
সজোরে মারে টান নির্জীব মাতৃস্তনে; বাঁচবার অভিলাষে;
নিজের অজান্তেই শায়িত হয় সুপরিকল্পিত রাহুর গ্রাসে।


চিত্রগুপ্ত লিখে যায়: অসফলতায় অংকিত শতশত প্রয়াস;
সকরুণ হৃদয়ে খুঁজি খবর; কী করে ত্যাজি জীবন-আশ!!
হে মানব জাতি,জেগে ওঠো তোমরা, করো না পরিহাস;
অন্যথায় ডেকে আনবে সুশ্রী ধরণীর অপূরণীয়  সর্বনাশ!!


** কবিতাটি আসরের কবি 'ইথারে'র  কবিতা"খবর" এ অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা, কবিতাটি কবি "ইথার"কে উৎসর্গীকৃত।
রচনাকাল: ২৫.০৭.২০১৬@ দুবাই