হে কল্যাণীয়া, বসন্তের চাঁদিমা, মম দুহিতা
করজোড়ে প্রার্থনা করে ভগবানে, তব পিতা
তোমার জন্মদিনে।
জীবন ভরে ফুটাও জ্ঞানের কুসুম তোমার
পুষ্পিত কাননে।


যত আছে অভিমান, শানিত করো জ্ঞান সঞ্চয়নে
জীবনের প্রতিপল নিবেদিত হোক মানব কল্যানে
তিলে তিলে নির্মিত হোক জীবন ভারত-দর্শনে।
বিচার বুদ্ধির ভিত্তি তব উঠুক গড়ে বিজ্ঞানের জ্ঞানে।


মানুষ মানুষে নেই কোন ভেদাভেদ, ঈশ্বর অভেদ
ব্রহ্মজ্ঞানই শ্রেষ্ঠ জ্ঞান--লিখে গেছে চারি বেদ।
মেকি নয়, চিরসত্যের খোঁজে হোক তব পথ চলা
মানব রক্তলাল, বাহিরে হোক না যতই সাদা কালা।


জীবন মাঝে আসবে অনেক অনাহুত মরুঝঞ্জা
বজ্রকঠিন হস্তে  লড়ে যেও, স্বাধিকার রক্ষার পাঞ্জা
বাস্তব বড় কঠিন,ভয় পেও না, যদিবা আসে দুর্দিন
সত্যের আঘাতে মিথ্যার নিশ্চিত পরাজয় একদিন।


অকস্মাতে আগত মেঘলা দিন,সূর্যতাপে হবে লীন
তাই বলি জ্ঞানমশাল জ্বালো,পাবে তুমি সূর্যছোঁয়া আলো
'সত্যম-শিবম-সুন্দরম:ঈশ্বর একম অদ্বিতীয়ম' সদা মুখে বলো।


★ আমার তিন বৎসরের কন্যা, অব্ধিজার জন্মদিনে আমার উপহার। তার সদা মঙ্গল কামনা করি।