হে আমার প্রিয় ভারতবর্ষ, আর একটু!
আর একটু অপেক্ষা করো
আমি দেব উপহার তোমায় এমন দেশ,
যা হবে কল্পনাতীত!


কালো আস্তরণের ঊর্ধ্বে,
তোমার প্রতি পদে পদে
সততার ছায়ায় মুড়ে দেব!
তোমার অঙ্গে যে কালোধনের কালিমা লেগে আছে
তা থেকে আমি মুক্ত করে দেব!


জীবকুল যেমন গঙ্গাস্নাত হয়ে পাপমুক্ত হয়
সেই গঙ্গাজলে তোমাকে স্নাত করে
পুণ্যতায় ভরে দেব তোমার  কোল!


তুমি কি ভুলে গেছো -
একদিন আমি ভাষণ দিয়েছিলুম -
হ্যাঁ! তুমি ঠিকই শুনেছ- "ভাষণ"
আমার অন্যতম প্রধান কাজ:  ওই ভাষণ!
আমি সেদিন দীপ্তকন্ঠে ঘোষণা করেছিলুম
"মা গঙ্গা আমায় ডেকেছে, মা যেমন সন্তানকে ডাকে!"
একবার ও আমার কন্ঠ কম্পিত হয়নি---


এই কলা শিখতে আমাকে কী কম
শ্রম দিতে হয়েছে!
সেই সুদূর হিমালয়ের পাদদেশ পর্যন্ত
আমি ভ্রমন করেছি সংসারধর্ম ত্যাগ করে
তাইতো ভারতবর্ষ! তুমি জানো,
আমি আজো সংসারত্যাগী বৈরাগী!

বাণিজ্যিক সম্প্রদায়ের সাথে আমার সখ্যতা
তোমার দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়া তো স্বাভাবিক,
আমার শরীরে এখনো যে বৈরাগীর তকমা লেগে আছে!
সেই পুরানো দিনের ভ্রমণ নেশাকে
  আজও আমি ভুলতে পারিনি
  শুঁড়িখানার মাতাল করা নেশা!
  বৎসরের অধিকাংশ সময় আমায় তাই বাইরের দেশে নিয়ে যায়!
  কিন্তু আমি যে কর্মযোগী!
   কর্মের হাত থেকে আমাকে মুক্ত করতে পারিনা!
বিদেশে বসেই করি এক অভিনব পরিকল্পনা--
কালোধনের অভিশাপ থেকে তোমায় উদ্ধার  করবো, ভারতবর্ষ!

ও মা, তুমি হাসছো কেন!
আমি কি ভুল বলে ফেললাম,
আহ, তুমি ভুলে গেলে কী করে --
আমি আমার প্রতিজ্ঞায় অটল থাকি--
আমি যে এ যুগের গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম!