আলোর গর্ভে সদ্য ভূমিষ্ঠ এক জারজ সন্তান
বিচ্ছিন্ন এবং বন্ধনহীনতায় ঘুরে ফিরে অচেনা কার্নিশ দ্বার,
সন্তান ও ছিন্নকারীর মাঝে আজ রাক্ষুসে ব্যবধান
জারজ সন্তানকে চোখের সম্মুখ দেখাও মহাপাপ।
            - আঁধারের জারজ পুত্র।


প্রচন্ড দৈত্যবৎ দানবীয় পর্যাপ্ততায় ঘিরে
জারজ পুত্রের জীবন চলন নির্ভিঘ্নে নির্ভয়ে,
ব্যাঙের মোহরের জ্বলন্ত আলোর আক্ষেপে ফেটে পরা
ছিন্নমস্তক নিয়ে নিতে চায় দানবিক থাবা।


শেষরাতের সঙ্গমে নিষিদ্ধ আলাপচারী নাগিনী নাগ
গহীন হতে আরো গহীনে প্রবেশ করে,
দরোজার কপাটে আছড়ে পরে শনশন বায়ু
বন্ধ করো তোমাদের এই অবাধ্য পদচালন।


শামুকেরা মুক্তো ঝরিয়ে দেয় প্রণয়ের নাম করে
নিখিল বিশ্বে জন্ম নেয় নতুন করে ঝিনুকের গর্ভে
   -আমারা তাকে আঁধার বলি।


আঁধার গুলো সব প্রাণহীন শহরের শেষ পথে
বিদ্যুৎ ঝলকের অপেক্ষায় / হয়ত নয়!
সবাই ঘৃণিত চোখে উগ্রে দেয় কতগুলো বমি ওদের মুখে
বলে তোদের মৃত্যু হবে কবে?


যেদিন তোমরা ঐ ব্যাঙের মোহর
নাগিনীর মণির বিদ্যুৎ ঝলক দেখতে পাবে। মনে রেখো;
               -আঁধারের ইচ্ছামৃত্যু।