তোমাকে আকাশের কোনো এক নির্জন কোনায় দেখতে পাবো বলে
আলতো করে ঘর ছেড়ে পথে নেমেছিলাম, নির্বিকার মনে
কুসুম ভোরবেলাকার সবটুকু শিশির নিয়েছিলাম করতলে
যদি মরনোন্মুখ তৃষ্ণার্ত হই তবে আকন্ঠ পান করে নেবো...


কামিনীর পত্রপল্লবে হন্যে হয়ে খুঁজেছি কিছু লিখে রেখেছো কিনা
সবুজ পাতার শিরায় শূন্য রেখাগুলো চেয়ে থাকে শুধু অপলক
বিষাদগম্ভীর এক মহাশূন্যতায় ছেয়ে যায় চারপাশ,
কতক অনুপোকা শুধু অকারণ এসে ঘুরে ঘুরে চলে যায়,
আমার চোখ যেন কিভাবে সবুজ অশ্রুতে ভ'রে ওঠে...


জনশূন্য অরণ্যে তোমাকে খুঁজে পেতে ইচ্ছে করে
বারে বার তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে পথ শেষ হয়ে যায়,
আমি মেহঅগ্নির অনিবার্য দাবানল ঠেকাতে পারি,
যদি কোনোভাবে কোনো ভুলে আমার সর্বস্বে আগুন লাগে
কিন্তু বুকের আগুনের দাবদাহে যে আমার অশ্রু বাষ্প হয়ে যাচ্ছে...


তোমাকে আবার ফিরে পাবো বলেই কিন্তু এমন পথে নেমে যাওয়ার ছল
অবলা গাছপালাও আমার কষ্টে দিশেহারা হয়ে এদিক ওদিক দোলে,
বুঝে না বুঝেই কিভাবে যেন, কারণে বা অকারণে, সন্দেহের দোলাচলে
বহুমাত্রিকতায় মন বিনিময় হয়েছিল একদিন, তোমার এবং আমার
তারপর সবখানেই আমাদের প্রেম, গাছের পাতায়, ধুসর প্রচ্ছায়ায়
বিশুদ্ধ শিশিরে, ফুলের পাপড়িতে, হলুদ পরাগরেনুতে...


জীবনের এত এত ভার, তোমার প্রেমের দানসামগ্রী ইত্যাদি
অসম্পূর্ণ সামান্য দুটো পা আর বইতে অপারগ হয়ে যায়,
তারপরেও সে হেটে হেটে মায়াকাঞ্চণ অরণ্যে তোমাকে খুঁজে ফেরে...
তবুও তো ভালো মাঝে মাঝে ভ্রমর, পাখি, প্রজাপতি এসে এসে
যেন কী এক দূর্বোধ্য ভাষায় তোমার কথা বলে বলে যায়...


আর তোমার মনমহুয়া প্রাণময় তোমার অনিবার্য অপেক্ষায়
নিঃশেষে বিভাজ্য করতলে অতল শূন্যতা নিয়ে হেটে যায়...
সেখানে সেই অজানিত অরণ্যে সবুজ মখমল ঘাসের তলায়
তুমি কোনো একদিন জেনে নিও তোমার প্রাণময়ের সমাধি হবে...


"মনমায়া বিচ্ছেদগাঁথা"
উত্তরা ঢাকা বাংলাদেশ
০৫/০৮/২০১৭ শনিবার