বাংলা কবিতা আসরের সাথে সম্পর্ক আজকের নয়, প্রায় এক দশক হতে চললো। এখানে কবিতা চর্চার সূত্র ধ'রে অনেক স্বনামধন্য কবিজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, প্রেমের লেনদেন হয়েছে, হয়েছে রাগ অভিমান এমনকি বিতন্ডাও বাদ যায়নি... সবকিছু ছাড়িয়ে এই আসরের সঙ্গে আমার দেহ ও মনের সম্পর্ক... এবারের শীতের বৈরি আবহাওয়ায় মায়ের অসুস্থতার কারণে প্রথম প্রাধান্য হিসেবে যশোরে মায়ের সাথেই ছিলাম সম্পূর্ণ জানুয়ারি মাস... আমার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ তাই বইমেলার স্টলে আসীন হতে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে নিলো... তারপরেও 'কখনই না হওয়ার চেয়ে বিলম্ব উত্তম...'


২০১৭ সালে এই আসরের ১০০ জন কবি'র নির্বাচিত কবিতা নিয়ে কবি শিমুল শুভ্র-এর সম্পাদনায় 'কাব্য শতদল' শিরোনামে একটি কাব্য সংকলন প্রকাশিত হয়েছিল। ঐ গ্রন্থটিতে আমার 'আশা পরশ' শিরোনামে একটি কবিতা ছিল। গ্রন্থখানি বইমেলা ২০১৭ তে  দাড়িকমা প্রকাশনীর তত্বাবধানে প্রকাশিত হয়েছিল। এবার ২০২৪ এর বইমেলায় এলো আমার জীবনের প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ... বাংলা কবিতা আসরের আমার সকল কবিবন্ধুদের সাথে জীবনের এই বিশেষ সময়টি ভাগাভাগি ক'রে নিতে এলাম... জানি সেই একই রকম ভালোবাসায় আবারও স্নাত হবো...    


কবি : আনোয়ার পারভেজ শিশির
কবিনাম : পারভেজ শিশির
কবিতা সংখ্যা : ৬০
কাব্যগ্রন্থ : "জলরঙের স্মরণ তিথি"


উৎসর্গ : কবিপত্নী মনিরা নূর
প্রচ্ছদ : আনোয়ার পারভেজ শিশির
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
গ্রন্থস্বত্ব : লেখক
প্রকাশক : মোহম্মদ মাকসুদ
প্রকাশনী : হাওলাদার প্রকাশনী
প্রাপ্তিস্থান : অমর একুশে বইমেলা ২০২৪
স্টল নং : ৪৭৩, ৪৭৪ ও ৪৭৫


একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪-এ আমার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ “জলরঙের স্মরণ তিথি” শিরোনামে প্রদর্শিত হচ্ছে হাওলাদার প্রকাশনী’র ৪৭৩, ৪৭৪ ও ৪৭৫ নম্বর স্টলে… এছাড়া বৃত্তকলা একাডেমি ও হাসান প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে যথাক্রমে “কাগজের ফুল” ও “যে কথা হয়নি বলা” শিরোনামে আরও দুটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ… সকলেকেই এই বই দুটিও পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো…


কবি সারা জীবনে’ও নিজের কাছে সত্যিই ‘কবি’ হয়ে উঠতে পারে…! সামান্য একটা মটরশুঁটি লতায়’ও সে মুগ্ধ হতে চায়, হয়তো ক্ষণিক আগেই কোনো গ্রাম্য কিশোরীর আঙুলের ছোঁয়ায় সে কাঁপছিল তখন’ও…! মনে মনে কখন যে একজন মানুষ কবি হয়ে ওঠে সে ব্যাখ্যা কোনো নিবন্ধে বোধ করি আজও কেউ লেখেনি, কেননা লিখতে ব’সে কেউ কবি হতে পারে না, একটা তরঙ্গায়িত বাতাস, কিছু অস্থির বিকেল, কোনো গাঢ় খয়েরি সন্ধ্যে হয়তো তাকে লিখতে বসিয়েছে…


কবি হয়তো কখনও আকাশের পাখি’কে, আর কখনও মাটি’র ফুল’কে চেয়ে তাঁর প্রাণকুসুম ভাবতে চেয়েছে – “সুপ্রিয় অন্তরলোকদর্শিনী, আমার কথা আর শব্দের ঘ্রাণে যে মধুপিয়াসী প্রাণপ্রতিমা এমন সুরের গুঞ্জনে মুখরিত হ'তে পারে, এত বহু সুদূরের আত্মীয়তায় তাকে আমি যেন খুব কাছ থেকে দেখেছি, আত্মার কাছে পেয়েছি…! যে কোমল ‘পারিজাত হিয়া’ কৃষ্ণ-মৃত্তিকার অবগুন্ঠনে সূর্যকরোজ্জ্বল হিরণ্ময়ী’র সন্ধান পেয়েছে, শুধু সে’ই ‘প্রাণপ্রতিমা’ এমন স্বপন গহন অতল শব্দের ঘ্রাণে…সর্ব্বহারা সামান্য’কে হৃদয় অলিন্দে মহাকালের জন্যে আপন ক’রে নিতে পারবে… শাশ্বতই, এই নৈবদ্য এই শ্রদ্ধার্ঘ্য যেন অতলস্পর্শী মমতা’র, বড় মনোরম অতি সাধনার… এ যেন বহু শতাব্দীর সঞ্চিত প্রেমকিঞ্জল যা’র স্পর্শে বিকশিত হবে স্বতঃ আকাঙ্খিত অদৃষ্টপূর্ব স্বর্গোদ্যান… প্রিয় হে ‘পারিজাত কুসুমকুমারী’, সকল তোমার ছন্দিত পল্লব সুরভিতে ধরিত্রীর নিযুত করুণ প্রাণের এই ক্ষণিকের জনম ও মুহূর্তের জীবন-স্পন্দন পুতপবিত্র হোক… … …”


এই কাব্যগ্রন্থের স্বপ্নবীজ আজকের নয়, যেন বহুযুগের বিবিধ কালান্তিক অনুষঙ্গ এসে একে প্রাণিত করেছে।  মাঝে মাঝে আমি কবিতা’র মন্তব্যে লিখেছি, “কবিতার প্রতি প্রেম হোক, কবি’র প্রতি প্রেম হোক”… জানেন, আমি এটা খুব চেয়েছি, মানুষ তার প্রিয় কবি’কে তাঁর জীবদ্দশায় ভালোবাসুক, কিন্তু এটা’ও ঠিক, কবি অত্যন্ত অভিমানী আবেগী সম্প্রদায়ের মানুষ, সে তুচ্ছ ঘটনায়’ও প্রবলভাবে আলোড়িত হতে পারে… কিভাবে যেন কবি’ই এই পৃথিবীতে সবচেয়ে দুঃখী মানুষ…  


উক্ত কাব্যগ্রন্থটির প্রচারণা ও পরিচিতির নিমিত্তে, যশোরের কবি পারভেজ শিশির-এর ফেইসবুক প্রোফাইল আনোয়ার পারভেজ নূর শিশির-এ এবং শিশিরের শব্দিতা ও Text N’ Art – শব্দছবি পেইজে যুক্ত হয়ে “পারভেজ শিশির” কবি-নামে আমার প্রতিদিনের চিত্রশব্দিতায় আপনার অনুভূতি ও সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্যে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানাই আমার সকল সুন্দর মনের কবি ও সাহিত্যিক বন্ধুদেরকে…


আমার বন্ধু ও সাথী… বিশ্বাস করি, আমার পরিচিত সকলেই কবিতার বইটি দেখবেন তবুও সবাইকে ‘জলরঙের স্মরণ তিথি’ কাব্যগ্রন্থটি সংগ্রহে রাখার জন্যে অনুরোধ করা হলো…


জানি আমার এই কাব্যসাহিত্য যাত্রায় আমার বন্ধুদেরকে সব সময়ই পাশে পেতে থাকবো… কবিতার প্রতি মানুষের প্রেম হোক, কবি’র প্রতি প্রেম হোক… সবার সর্বাঙ্গীন অনন্ত শুভ ও মঙ্গল হোক…


উত্তরা । ঢাকা । বাংলাদেশ