অগোছালো মেঘ, মন পাখি হয়ে উড়ে যেতে চায়
অনন্ত দিগন্তের সীমানায় –
সূর্যের মুখোমুখি দাঁড়ালে , জ্বলে পুড়ে হবো ছাই
তবুও কালো মেঘ হয়ে উড়ে যেতে চাই
      
                     তুমি পারো ভেসে যেতে- নিজেকে সপে দিতে
                     বৃষ্টি ভেজা কান্নায় –
                     বুক ভাসানো বন্যায়
                     তুমি পারো প্রভাহমান স্রোতে- নিঃশর্তে ভেসে যেতে    
                                                                                                                                              


অনন্ত কালের বট বৃক্ষ –  
যার ছায়ায় তোমার স্বপ্ন তিল তিল করে বড় হয়েছে
লিপিবদ্ধ ইতিহাস পাতায় পাতায় মাথা তুলে চেয়ে আছে
আজ বৃষ্টির অবিরাম ধারা, বন্যার কাঁধে চেপে –
মাথার উপর তান্ডব করে ঘুরে ।


                     বাড়ির সীমানায় আবর্জনার পাহাড়
                     অবরোধ করে রেখেছ পথ-
                     যেদিকে নিঃশব্দে চলেযেত জল
                     দুর্বার স্রোতে তুমিও ভেসে যেতে পারো -
                     পচা গলা আবর্জনার মিছিলে ।
                                                                                                                                              
বাজারে ক্রেতার ভিড়
ইচ্ছেমত নিজেকে বিক্রি করে দিতে পারো
নিঃশর্তে ভেসে যেতে পারো
কাঁচের বাক্সে বন্দি রঙ্গিন মাছের মতো ।


                    রামধনুর রং দিয়ে কত কি ছবি এঁকেছ
                    কবিতার ফুলদানি গুছিয়ে-সাজিয়ে রেখেছো
                    সহজেই নিজেকে সপে দিতে পারতো
                    টিপ টিপ বৃষ্টিতে অবিরাম ঝরত
                    কালবৈশাখীর অজস্র ঝড় বুকের ওপর খেলা করে
                    রামধনু তবুও তার সত্তা হারায়নি -
                    জলরং তুলিতে সে নিজেকে ছড়ায়নি  ।



  তুমি পারো মিশে যেতে – নিঃশর্তে ভেসে যেতে
  অজস্র স্রোতে -
  যে স্রোতের আঘাতে খশে পড়ে বট-বৃক্ষের পাতা একে,একে    
  তুমি পারো ভেসে যেতে –
  তোমার বাড়ির উঠান ভাঙ্গা মাটির স্রোতে  ।


                            কালবৈশাখীর বেপরোয়া ঝড় ,যতই বীভৎস হোক  
                            আমি অনন্ত কালের প্রহরীর মতো উড়ে যাবো আরও
                            তুমি নিজেকে সপে দিয়ে , নিঃশর্তে ভেসে যেতে পারো ।