ঘুম ভাঙ্গা ঝাফসা সকালের আকাশ , আর
টিপ টিপ শিশিরে দাগকাটা ভেজা বারান্দার মাটি
রামধনুর গায়ে মাখা শরতের রঙিন চিঠি ।  
রুক্ষ রুষ্ট মেঘাচ্ছন্ন অম্বরে ,তিমির আঁধার ঠেলে
শরতের দিপ্ত পাখা মেলে –
স্বর্গের তিলোওমা তুমি, আমার দেবালয়ে –
আলতো পায়ে, আবার ফিরে এলে ।
হিমের ছুঁয়ায় দোল খায় , একাকী দুপুর, শাদা কাশবনে  
পাল তুলে মাঝি বাড়ী ফীরে, আগমনীর গানে ।
সমুদ্রসৈকতে অধিস্থিতা  উর্বশী, নাকি
প্রবাহমান যন্ত্রণার স্রোতে  প্রেরণার উৎস তুমি!    
ব্রহ্মপুত্রের জলরাশি তোমার চরণ ছুয়ে  
দুখ বেদনা বুকে নিয়ে, নিস্তব্ধ নিরবে  
অনন্ত কাল থেকে অবিরাম ছুটে চলে
অজানা ঠিকানার খুঁজে ।  
ঝিম হাওয়ায় শিউলি ঝরায় , গন্ধ ছরায় প্রাণে  
গাছের পাতায় মৃদু টোকায় , শিশির ঝরায় বনে !
অপলক চেয়ে দেখো ব্রহ্মপুত্রে যদি  
শরতের শামীয়ানায় হেঁসে উঠে নদী!
নীলাচলের গা ঘেঁষা শাদা মেঘ, রাশি রাশি  
শরৎ ! তোমায় ভীষণ ভালোবাসি ।