যানজট
         মোঃ আতাউর রহমান


আসছি ঘেমে নেয়ে
’শিকড়’ আকড়ে ধরে
হাটি হাটি
পা পা করে
আসছি আর ঘড়ি দেখছি
কখন বাজবে নয়টা
যদি হয় লেইট
হয়ে যাবে বন্ধ
অফিসের গেইট।


চলে না গাড়ির চাকা
আমি নই একা আরও যাত্রী
শতাদিক হাজারে হাজার
সেকি কারবার
উপায় নেই কোন আর
হেলপার যাত্রীর চেচাঁমেচি
বারে না গাড়ীর গতি
দাঁড়িয়ে থাকে ঠাঁয়।


প্রাইভেট গাড়ি করে
চলে রথি মহারথি
সব ক’টা গাড়ি যেন বিকল
উচ্চ বাচ্য সকলি বিফল
দুর্বিসহ যানজটেে
এদেশে আর নয় থাকা
যাব ইউরোপ আমেরিকা
কোন কাজ পাই বা না পাই
করিব হোটেলে নকড়ি
যদি না পাই ভালো চাকরি
ইচ্ছে নেই বাড়ি ফেরার
না হয় বছরে একবার
আসব ফিরে বাড়ি।


ক্ষীণকায় দুর্বল লোকটা
ঠেলে রিকশা একটা
গায়ে তার নেই বল
পাশ কেটে যায় চলে
তাকে পিছনে ফেলে
যন্ত্রচালিত যত যান
ভ্রূক্ষেপ নেই তিল রত্বি
’ক্লাছ’ চেপে দেয় টান
রিকশায় সেকি এক ধাক্কা
রিকশাচালক পায় অক্কা।


দ্বীনহীন পথচারি লোকটা
পকেটে নেই টাকা একটা
ভির মারিয়ে চলে একা একা
সাধ্য নেই তার গাড়িতে উঠা
যাবে দূর বহুদূর ঠিকানা
কোন পথে যাবে
তাও তার অজানা
হয়তো বাজবে রাত
দশটা কি বারটা।


হঠাৎ বিকল গাড়ি
রাস্তায় দাঁড়িয়ে অাড়া-আড়ি
নেই কোন ট্রাফিক-পুলিশ
আহা কি যে করি
হবে বুঝি আরও দেরি
দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুলেন্স ঠাঁয়
নিয়ে এক রোগী মৃত্যু পথযাত্রী
অপেক্ষা প্রায় এক ঘন্টা
এই বুঝি যায় রোগীর প্রাণটা
টেনশন টেনশন পরিবেশ
অফিস করার সময়
এই বুঝি হবে শেষ।


যত সব সিগন্যাল বাতি
জ্বলে নিভে যথারীতি
ট্রাফিক-পুলিশ মানে না
ক্লিয়ারেন্স দেয় ইচ্ছমতে
মন্ত্রীর গাড়ি যদি যায়
সব রোড থেমে যায়
আগে যায় মন্ত্রীর গাড়ি
অ্যাম্বুলেন্স থেমে যায়
যায় যাক রোগীর প্রাণ।


হাত নেই পা নেই
নিঃস্ব এক ভিখারি
গড়িয়ে চলে থালা সাথে
টিউবে মোড়ানো দেহখান
পার হয় ব্যস্ত রাস্তা
হাতে নিয়ে প্রাণ
ভ্রূক্ষেপ নাই তার
যায় যদি যাক প্রাণ।


সবাই চায় বুঝি থাকতেে
একেবারে শহরের কেন্দ্রে
চল না গড়ি সবাই উপশহর
উপশম হউক তবু যানজট
বিকেন্দ্রীকরণ চাই তাড়াতাড়ি
কিছু কিছু অফিস আদালত
গড়ে নতুন শহর ও উপশহর
চাই ফ্লাইওভার একাধিক
সারা শহর জুড়ে
বড় বড় মোড়গুলিতে
চাই উড়াল সেতু
নিশ্চয়ই হবে সমাধান
যানজট বাঁচিবে প্রাণ।