আমি প্রথমদিন থেকেই তোমাকে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছি,
কত ছিন্ন ছুটিতে তোমাকে আপন পর্দায় দেখেছি।
আজ ও তোমাকে বলিনি,
আমার আপন পর্দাটাও তোমার সামনে ধরিনি।
আমি এ রকম ই, অকপটে কিছু বলতে চেয়েও ফিরে আসি,
হারানোর ভয় হয় জানোতো, যদি মলিন হয় ওই হাসি।
শাসিত সমাজের বুকে তোমার পরিচ্ছন্ন অগ্রযাত্রা,
আমার জীবনকে ও দিয়েছৈ ভিন্ন মাত্রা।
তুমি তিতীক্ষার লব্ধ ফলের অগ্রজ হিতা,
তুমি তোমার মাঝেই সর্বদাই সবচেয়ে পরিণীতা।।
বৃক্ষ শাখার সবগুলোতে তোমার সম পরিচর্যা,
ফুল পতঙ্গ পাখিগুলো তোমার ভালোবাসার প্রজা।
মেঘদূতের সাথে তোমার সঙ্গ প্রকৃতিপনা,
হঠাৎ ই আকাশে ঝংকার আর সূখের আলপনা।
তোমার আকাশে তুমি লাটাই ছাড়া ঘুড়ি উড়াও,
চাইলে তুমি খালি পায়ে শুভ্র বকুল কুড়াও ।
তুমি সাদা গোলাপের পাপড়ি নিস্পাপমনা ,
তুমি সুবাসিত বেলীফুলের গন্ধে আনমনা।
পত্রের কর্কর শব্দ তোমার নুপুরের চাহিদা,
সন্ধ্যার কলরবে তুমি সজাগ সচ্ঞিতা।
আকাবাকা নদী তোমার কোমড়ের ঢং,
পুইঁ মাচার বৃত্ত তোমার পায়ের আলতা রং।
তুমি চিড় ধরা ভুমিতে বন্ধন প্রলেপ,
অবাধ জোয়ারের মাঝে প্রশস্তির সংক্ষেপ।
গাছের কচি পাতাগুলো তোমার ছলে খেলে,
বাসার ছোট্ট পাখিগুলো প্রথম পেখম মেলে।।
রাতের আকাশের চাদট তোমার ওই কপালের টিপ,
জোনাকির অবাক আলো মনের প্রদীপ।।
ঝি ঝি পোকার ডাক তোমার ঘুমপাড়ানির সুখ,,
লোকালয়ের ভীড় তাই বিষাদ অহেতুক।
ছোট বড় পাথর তোমার নাচের ছন্দাভিনয়,
মাঝ দিয়ে জলস্রোত ভালোবাসার বিনিময়।
উচু পাহাড়ের টিলায় তুমি মুগ্ধ খোলা বিশ্ব,
মুক্ত মনের দুয়ার খোলা ব্যস্ততা অদৃশ্য।
তুমি পাতা ছাড়া কঙ্গাল দেহে প্রাণের সন্চ্ঞার,
তুমি নদীর বুকে ছোট্ট নায়ে আনন্দ সম্ভার।।
শান্ত জলে আল্পনা আকো আলতো ছোয়া দিয়ে,
যেন সর্বসূখে ডুব দাও গোটা জলতরঙ্গ নিয়ে!
আমি প্রকৃতির প্রেমে মুগ্ধ তাই তোমাকে পেতে চাই,
সর্বসুখ আসবে ঘরে কোনো চাহিদা আর নাই।
কিন্তু আমি অপারগ বলে না হৃদয় হিয়া,
বড় বেশী ভালোবাসি তোমাকে যে প্রিয়া।।।।।।।।।।