কোন নারী সন্তান সম্ভবা জানলে
সকলে খুশিতে ডগমগ হয়ে উঠে
কিন্তু যেই জানবে গর্ভে কন্যা ভ্রূণ
সবার খুশি অখুশিতে পরিনত হবে।
সঙ্গে সঙ্গে মাথায় আসরে ভ্রূণের ক্ষতি
যে করে হোক গর্ভেই শেষ করা।
কেন?কেন এত অবিচার কন্যার প্রতি?
যে পুরুষ চাইবে ক্ষতি করতে, সে নিজে
কোন কন্যার গর্ভ থেকেই জন্মেছে আর
যে নারী চাইবে তার কোন ক্ষমা হতে পারেনা।
সে নিজে নারী হয়ে মনে আসাই পাপ।
আচ্ছা আমরা তো স্বর্গ-নরক,পাপ-পূণ্য
অনেক কিছুরই বিচার বিশ্লেষণ করি।
তাহলে যে সব কন্যা শিশুরা ভ্রূনাবস্তায়
মারা যায় তাদের আমরা কোথায় পাঠায়
স্বর্গে না নরকে, তাকে নিশ্চই নরকে  
পাঠাতে পারিনা, তাহলে কি স্বর্গে পাঠায় ?
আচ্ছা যে কন্যা ভ্রূণকে নষ্ট করে দেওয়া হয়
সেতো হতে পারতো মাদার টেরিসা বা
মাতঙ্গীনী হাজরা বা প্রীতিলতার মত কোন
দয়ালু বা বীরাঙ্গনা নারী।
তবে কেন এই বিঞ্জানের যুগে সভ্যতার
এত ধাপ এগিয়ে এসেও কন্যা ভ্রূণের প্রতি
অবহেলা, তাই নারী-পুরুষ সকলকে একসাথে
এগিয়ে না এলে এ রোধ করা সম্ভব কি ?



রচনা কাল ঃ ১৫/০৩/২০১৫