আন্ধার রাইত।।
৫টা শরীর গাদাগাদিতে ঠাঁসা।
হটাত করেই,
আমাকে চমকে দিয়ে
ছটকু দা বলে উঠলো,
" থাপ্পড় খাবি বাঞ্ছত। ক্যান ধর।।"
ধরলুম ক্যান...
কিন্তু.........।
এই থাপ্পড়টা তো আমার প্রাপ্য ছিল না।
তবে?
ঘুমন্ত মানুষকে আর জাগাতে গেলাম না।
আমার জানালায় এক টুকরো চাঁদের আলো হাসছে সেই কখন থেকেই।
আর সভ্য দা ও তখন থেকেই প্রিয়তমার সাথে মিলনের আনন্দে অট্টহাসির পসরা সাজিয়ে বসেছে।
কল্পনাতুর মন কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরোহী হয়ে যায়।
আমি থাকি নিরুত্তাপ।
একটা মশা, শরীরে ডোরা কাটা দাগ, সুন্দর বনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর মত।
আমার পাশে মৃণাল দা, দীর্ঘদেহী।
তখন থেকেই চোখ বন্ধ করেই তার শত্রু নিধনে ব্যস্ত।
আর দুষ্ট মশাটা যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে শত্রু শত্রু খেলায় মত্ত।
আমি রেফারি না, রাত জাগা নৈশ প্রহরি, আর তাই কাউকেই বিজয়ী ঘোষণা করলাম না এই দুই সত্ত্বার দন্দে।
শুধুমাত্র অনিল দার চোখে মুখে তৃপ্তির ঢেঁকুর, পরিপূর্ণ ঘুম হওয়ার সংকেত দিয়ে যাচ্ছিল সে।
আজ রাতটা শুধুই দাদার।
শৈশবের দারিদ্র্য কে জয় করতে চলেছে সে।
মাইনে ৩৫০০০ টাকা, তিন মাস পর পর ইণকিরিমেন্ট।
সঙ্গে প্রিয়তমার ঠোঁটের চুমো তো থাকছেই।
আর আমি, সন্ধ্যার আড়ালে হারিয়ে যাওয়া সূর্যের আলোর মত সাক্ষী হয়ে থাকছি পরাবাস্তবতার।
চোখে ঘুম নেই, ভাবলেশহীন...
মহসিন হল, রুম নাম্বার ৫৪৬...।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।