তোমার মধ্যে আমি আটকে গেছি
একেবারেই আটকে গেছি।
কিছুতেই বেরোতে পারছি না
শতচেষ্টা করেও নয়।


আসলে আজ তোমার ফটোটার সামনে দাঁড়িয়ে
শুধু ভাবছি পুরনো দিনের কথা।
সেই ফেলে আসা দিনের স্মৃতিগুলো
মনকে নাড়িয়ে দিচ্ছে।
তোমার আর আমার
কত কথা,কত ভালোবাসার ছবি দেখতে পাচ্ছি।
কিন্তু এ দেখার পিছনে
আরও যেন কিছু দেখতে পাচ্ছি
ঠিক বুঝতে পারছি না
খুব আবছা লাগছে।


তুমি কী জাদু জানো বলো তো?
আমায় ছাড়ো এবার।
আর আটকে রাখলে হবে?
না: তুমি দেখছি ছাড়বেই না-
একেবারে সঙ্গে করেই রেখে দেবে।


এই যে কী করছ কী?
তোমার হাতে ছুরি!
কেন কী করবে এটা দিয়ে?
পাগল নাকি তুমি?
মাথা খারাপ হয়ে গেল তোমার?
আরে.... আমার গলায় বসাচ্ছ কেন ওটা?
আ......আ......।


হঠাৎ ঘুমটা ভেঙে গেল।
শুনলাম বড়ো দেওয়াল ঘড়িটায় দুটো বাজল।
ধড়মড়িয়ে উঠে বসলাম বিছানায়।
সারা শরীর ঘেমে একাকার,
যদিও মাথার উপরে বনবন করে ঘুরছে ফ্যান।
বিছানা থেকে নেমে লাইট জ্বালালাম।


একী অবস্থা!
আমার ঘরের মেঝেতে এত রক্ত এলো কোথা থেকে?
আর......আর....ওটা কী?
একটা রক্তমাখা ছুরি!
থরথর করে কাঁপছি আমি।


সব মনে পড়ে গেল।
আজ থেকে ঠিক একবছর আগে
এমন রাতের বেলায়-
মৃণালিনীকে খুন করেছিলাম।
ধরালো ছুরি দিয়ে এক কোপ মেরেছিলাম ওর গলায়,
কাটা ছাগলের মতো বারকয়েক ছটফট করে শান্ত হয়েছিল....।
খুন করেছিলাম স্রেফ সন্দেহের বশে-
পরকীয়ার ব্যাপার ছিল যা অতি সাংঘাতিক।
পরে আমার ভুল বুঝেছিলাম
কিন্তু বড্ড দেরি হয়ে গেছিল।


তাই বলে.....তাই বলে..... মৃণালিনী প্রতিশোধ নিতে চায়?
ওর মৃত্যুদিনেই ও নিতে চায় প্রতিশোধ?
উফ! আর ভাবতে পারছি না,
মাথা খারাপ হয়ে যাবে আমার.....।
তবে....তবে.... ঘুমিয়ে যে স্বপ্নটা দেখলাম......
আর বাস্তবে এ দৃশ্যের মধ্যে সম্পর্ক কোথায়?
বুঝতে পারছি না তো ঠিক।


--- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
১৬ই মে,২০২৩,রাত ১১টা, বারুইপুর