নিরেট ধূমিকার নিশ্ছিদ্রতায় মিশে গেছে,
রাত্রির অব্যক্ত যত প্রত্যয় প্রত্যাশা আমার।
অনন্ত এক প্রহরায় কেটে যাবে এই ক্ষণ,
একাকীত্বের উপঢৌকন নিদারুণ বিনিদ্রে।
সখীর দখিন দুয়ারী জানলায় স্বপ্নমুখি বিহঙ্গ,
নিশাচারদ্বয়ের চতুর্মাত্রিক অক্ষির পাহারাদার যে।
বিরাতের কুয়াশাবৃত হাটশালায় চলচে কেনা বেচার ধুম,
অবহেলিত কিছু দুষ্প্রাপ্য খোয়াবের বসেছে পসরা।
অগণন ক্রেতার সমারোহের ঢল পড়েছে,
আধমূলি বিক্রি হচ্ছে শয় শয় অপ্রষ্ফুটিত খোয়াব।
সখীর অসংজ্ঞায়িত অসংখ্য বাসনা উত্তপ্ত নিলাম উঠেছে,
যাযাবর কোন ক্রেতার বেহেয়ালি দর কষাকষিতে বেচাও হলো তা।
এভাবেই দিগন্তের মহাকালে হারিয়ে যাই এক একটি বিরাত,
সময়ের ভাঁজে ভাঁজেও বদলে যায় এক একটি প্রহরী বিহঙ্গ।
জীবন মোহনার বাঁকে বাঁকে মোড় নেয় সহস্র হাটশালা,
লেনাদেনার প্রাচীন সভ্যতা চূর্ণে ঘটে পালাবদল।
সখীর রজনী জাগ্রত লাল সে দু'চোখ সেবার দেখেছি নিলামচরে,
তারপর কত শত যুগ পেরিয়ে শতাব্দি তবুও সখী ফেরেনি ওই লাল চোখে।
অতঃপর পশ্চিমের জানলায় রচিত হয়েছিলো সমাধি,
এফিটাফে লিখে ছিলাম ঝরে পড়া লাল চোখের সখী।
▪     ▪     ▪


রচনাকাল…
উখিয়া, কক্ִসবাজার।
2013·Nov·05_01·30·রাত্রি।