আমরা ক্রমশই আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছিলাম দ্রুত।


অগ্রহায়নের শিশির সিক্ত ঝিরিঝিরি বাতাসের সাথে,
শীতের অবগাহন মিশ্রিত ধূমিকার নিরেট পরত হয়ে।
আমাদের প্রধান উঠোনে দীঘল দূর্বার ঘন বসতি,
যার পক্ষান্তরে পিছনের উঠোনটা সম্পূর্ণ বিপ্রতীপ।
লোকালয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আমরা হাঁটছিলাম,
সে সমস্ত উঠোনের অতি নতুন তৃণবক্ষের উন্মুক্ত বাঁক ধরে।
আমরা উভয়ই উভয়ের প্রতি নিবিড় আসক্ত খুব,
অথচ দুজনই বহুকাল ধরে ভীষম অচিন ও অপরিচিত।
দিনশেষে আমাদের যাত্রা স্থিমিত হলো, আর ভীষণ বিস্ময়ের ব্যাপার হলো এই যে,
তৃণাবৃত সে উঠোন হতে আমরা কখন যেনো পৌঁছে গেছি, সেই বালুময় পিছনের উঠোনে।
তবুও সে যাত্রা ফের প্রারম্ভ করলাম দু'জনা,
যতদূর রোমন্থন হয়, আমাদের ঐ যাত্রা আর শেষ হয়নি সেদিন।


হ্যাঁ, আমরা সেভাবেই দ্রুত উঠে যাচ্ছিলাম, আকাশের দিকে।


"দাড়িওয়ালা মহীরূহ"


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2014.Dec.15_12.রজনী।