যেসব ক্ষণ মহাক্ষণ প্রকাশ্যে দিবালোকে উড়ে গেছে অনিন্দ্য ,
অনন্ত উল্লাসের অবমুক্ত প্রজাপতির ডানায় চড়ে তোমার নেত্র চিড়ে চিড়ে।


বরং তাদের আজ বড় প্রযত্নে পরমে কাছে ডেকে এনো অনুপমে,
অতঃপর বিরামহীন আদিগন্তে বয় চলা অথৈ প্রবাহিণীর মোহনায় নিয়ে যাও।


তারপর শয় শয় দুঃখের পসরা সাজিয়ে মহা আয়োজনের দামামা বাজিয়ে,
প্রধান ও বিশেষ অতিথির সংরক্ষিত আসনে অধিষ্ঠিত করো তাদের।


এবার এক-একে উন্মুক্ত করে দাও তোমার সহস্র যত যাতনার অধ্যায় সমূহের বিমর্ষ দ্বার,
আর গভীর মনোযোগে শ্রবণ করো অতিথিদের প্রতিক্রিয়া বক্তব্যের সারমর্ম।


এবং চূড়ান্তে প্রলয় উঠা অনুশোচনার আত্ম সমালোচনায়,
সবিনয়ে নিজেকে স্বজ্ঞানে সপে দাও অপরাধবোধের নির্মম  কর্মে।


বলো জৌলুস প্রেমের সম্ভার প্রিয়তা প্রণয়িনী,
আমি অবেলায় যত শত মুহূর্ত বিলুপ্ত করেছিলাম প্রাণান্ত,
সেসব কি তবুও বলবে আমার নির্দয় দাম্ভিকতায় অবজ্ঞার পরিচয় নিপুণ?


আজ তবে স্বাধীন চিত্তে নিজ চেতনার অন্দর মহলের কাঠগড়ায়,
সবিনয় মস্তকে প্রগাড় ভাবনার নিটোল যুক্তিতে শনাক্ত করে নাও-
কে অপরাধীর খোলসে আবৃত গূঢ় দারুণ?



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.May.14_10.40 রাত্রি।