নিস্তব্ধ যামিনীর হাত ধরে বেড়ে উঠে,
ক্রমান্বয়ে প্রলম্বিত বিষাদের মহাকাল।


হৃদয় গহীনে তোমার নামে সুখ বর্ষণ নামতে নামতে,
আচমকা একদিন ফুরিয়ে গেলো শ্রাবণ সর্বস্ব জলাধার।


সমুদ্রের বক্ষ চিরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে তখন,
তৃষিত আসমানের সহস্র গুচ্ছ নীরদের জন্মদাত্রী।


নগরীর এপার ওপার সব প্রান্তরেই খরা পড়েছে,
স্নানহীনে অর্ধমৃত প্রায় সুসজ্জিত ইমারতের সারি।


কয়েক শতাব্দী ধরে অনুগামী বৃক্ষমালা,
সোজা আমার হৃৎপিন্ডের দিকেই হেঁটে এলো নিখুঁত।


সুঘ্রাণহীন পঞ্চ-পুষ্পের বেদি অর্পন মন তপোবনে,
তারপর অবিরল বৃষ্টি বন্দনায় চিত্তপটে কাঁচের চুড়ির সুর।


রাত্রির গোপনতায় আমি অদ্ভুত চিত্তে ভেবে আকুল বিমূর্ত,
এ ক্যামন বৃক্ষের দলবল যারা কিনা পেলো কাঁচের চুড়ির সুর!


এবং সুরের অগ্র-লহরীতে আমার একান্ত চাওয়ার অনিবার্য সে তুমি,
অগ্নিঝরা হয়ে সৃষ্টি হলে বিমোহিত চুড়ির বৃক্ষগুলোর সেই সুর হতে।


অতঃপর ঠিক ঠিক আমার একুশটি বৃষ্টিহীন শ্রাবণের পরে,
তুমি রমণী অধরা নেমে এলে তৃষ্ণার্ত নগরীতে স্পর্শ দিতে ঢের।


শূণ্য বারান্দায় আজ ঐতিহাসিক সে শূণ্য জলাধার ছুঁতেই,
উন্মুক্ত হলো পরিচয়; সেই বৃক্ষ বন্দনা প্রবল বৃষ্টি -ই নাকি তুমি ছিলে।


তবে আমার শুষ্ক নগরী ও হাহাকারে নিদারুণ ইমারতমালা,
আর গুচ্ছ গুচ্ছ নীরদের জন্মদাত্রীর সম্ভার দেখে কি তুমি বুঝে নিবে আজ?


এখনো কেউ একজনা আছে তোমাতে,
তোমার সদ্য আগুনের পায়ে;
বিশ্বস্ত এক স্নিগ্ধ পায়েল হয়ে।



রচনাকাল-
2015.Jul.06_12.05 রাত্রি।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।