ইতিহাসের প্রৌঢ় পত্রাঙ্কে স্মৃতির নেত্রজল পাঠে,
আকস্মিক ফুটে উঠলো তুমুল বিষাদের অভিতপ্ত পয়োধি।


নির্বিবাদ ভুলে গিয়ে এ ক্যামন সন্তাপ চিত্তদাহ,
তা কেবল বিমর্ষতায় লেপ্টে আছে ওসব প্রলয়ী বিষাদ সিন্ধুতে।


একদা বিষদিগ্ধ এ নগরীর পাঁজরে তুলেছিলাম স্নিগ্ধ সতেজতা,
সুশোভিত দ্বিতয় স্পন্দনে প্রেমের বারতা ছড়িয়েছিলাম দারুণ।


সদ্য অন্তঃশীল কামনার বিষম পাওয়াতে বিভোর সেসময় হয়েছিলো,
অনন্ত যৌবণায় পূর্ণ কোন প্রফুল্লিত বর্ণীল স্বর্ণকাল।


উৎকৃষ্ট সেসব শুভ্র লগ্নের তরে বুভুক্ষিত এই প্রহর,
খা-খা নৈঃশব্দ্যের অন্দরে আর্তনাদের রুঢ় খেদোক্তি।


আজ শহরের দ্যুতিময় এই রাত্রির বুকে লেগে আছে জলের কলঙ্ক
ধাবমান কোন হরিণীর কনীনিকার মতো অধ্রুব মর্মরতা।


অপ্রশমণে ক্ষত বিক্ষত এই নগরীর মুমুর্ষ দ্বারে,
চূর্ণ বিচূর্ণ এক মননের নিকষ হাকডাকের ব্যাঞ্জনা।


যামিনীর সঙ্গ নিয়েই প্রসারিত হয় বিরহের তেপান্তর,
বিষণ্নের নীলচে ডাকবাক্সে জমা হয় প্রাতঃকালের অভ্যাগমী বার্তা।


আর এসব ব্যয়িত সময়-সুসময় ক্রমশই বেড়ে উঠে ইতিহাস হয়ে,
কালের বিবর্তনে সময়ের স্রোতে হয়ে যায় যা প্রৌঢ় স্মৃতির অশ্রুলিপি।


রচনাকাল-
2015.Oct.18_02.00 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।