তুমুল শীত প্রবণ কোন রজনীর তীরে একদা,
রণাঙ্গণে যাবার দৃঢ় প্রত্যয়ে তাবু ফেলেছি।


টিমটিমে লণ্ঠনের দীপ্তিতে তখনও বিপুল শত আস্য,
যেসব মুখাবয়বে রক্তের উজ্জল বিদ্রোহ দৃশ্যমান।


এক, দু, তিন এভাবেই শত সহস্র রাত্রির অনায়াস চলন,
রসদের বিকল মহলে তখন শয় শয় ক্ষুধার চিৎকার।


প্রতীক্ষার দীর্ঘ সময়ে ভেসে যাচ্ছে যুদ্ধের তেজস্ক্রিয়তা,
ম্রিয়মান দৃঢ়তার প্রত্যয় নিশ্চিহ্ন নিদারুণ।


অতঃপর,
তাবুতেই গড়ে উঠে ধরণীর সভ্যতার রমরমা ইতিহাস,
খেই হারানো যোদ্ধারাই হয়ে উঠে পৃথিবীর অধীশ্বর।


ক্রমান্বয়ে শৈশব ধরণীর বুকে যোদ্ধারাই বনে উঠে,
মানুষ নামের একেকটি রূপকথার জ্যান্ত ইতিহাস হয়ে।


আর,
আজও যখন সে বিবর্ণ সভ্যতার অক্ষরে ঢুকে যায় আমি,
চলমান প্রক্রিয়ার যুক্তিতে বুঝতে শিখি মানুষের জন্মান্তর।


হে বৈশ্বিক উন্মাদনায় বিভোর রাক্ষুসে পৃথিবী,
আমরা কি সেভাবেই যোদ্ধা হতে মানুষ নামে প্রাণী হয়েছি?


রচনাকাল-
2015.Dec.20_01.15 রজনী।
লাইট হাউজ, কক্ִসবাজার।