প্রিয় ফারমোজা —
আমার কাছে অশেষ মিহির রুদ্দুর, অপরাহ্নের মুঠো নিদ্রালু
আমার গোটা  সুখস্বপ্ন  বিক্রি হয়ে  গেছে,  কিছু  সমাপ্তহীন
বিষাদের  কাছে।  মাত্র এক  জীবনের দ্বন্দ্বের  দৈন্যতা বেচে
দিয়েছে— আমার  জিইয়ানো   বেশুমার  গন্তব্য।  বৈতরণীর
প্রতিচ্ছায়ায় দু:খ পুষে, আষাঢ়ে প্রবঞ্চক যে বৃষ্টি— রাত বয়ে
এনেছিলো;  সেথায়   আজিকে   আমার   তড়িৎ  এপিটাফ।
সোনালু মাছের করোটিতে, যে অ্যাকুরিয়াম ভর্তি আশালতার
বসবাস—সেখানে ভারাক্রান্ত সন্ধ্যার প্রসাধিত ফোয়ারা। ব্যস্ত
তানপুরায় যে আকাশ বাজায় শুকনো পাতার বংশী—সেখানে
ছলচ্ছল  আঁখি; কাজলের মুছে  যাওয়া কালির  করুণ বীণা।


ফারমোজা —
কখনো  কখনো  ভরহীন  তবু  ভীষণ  বেদনার  কুন্ডলীতে
ঘনান্ধকার  হয়ে উঠে  রাত—  তখন খুউব  করে বয়ে যায়
স্মৃতির বিস্তীর্ণ হাওয়া।  বিপুল দরিয়ায় জলোচ্ছ্বাসে বিক্ষত
জাহাজের লণ্ঠনের প্রদীপকে— যেমনটা লুন্ঠন করে  প্রতাপ
ঝড়;  ঠিক  তেমনটিই  স্মৃতির  বিস্মৃতি চূর্ণ  করে  নিউরণ-
ভেঙ্গে  দেয়  আস্ত  এক  জীবন।


                                                            ইতি—
                                                      —ফারায়েজ
                                                ২৩০৯০৪০০০৩