এক-
পা রাখের পূর্বে পৃথিবীর মাটিতে
তুমি একের ন্যায় পরেছিলে
মায়ের গর্ভে।


দুই-
এক পেড়িয়ে দুইয়ে এসে
দুটি হাতে শিকলে ধরতে,
হাঁটতে শিকলে দুটি পায়ে
আর-
দেখতে শুরু করলে দুটি চোখে
রঙ্গিন এ পৃথিবীকে।


তিন-
তিন-এ এসে দাঁড়িয়ে তুমি
একটু ঘুরে করলে শুরু
পাঠশালায় যাবার যাত্রা।
পাঠশালা ছুটির পরে
ডানে-বামে আর পিছু চেয়ে,
ফিরতে যে বাড়ি।


চার-
তিন পেড়িয়ে চার-এ এসে
যৌবনকে সাথী করে,
চার প্যাঁচের বুদ্ধি নিয়ে,
চলতে তুমি সারাক্ষণ।


পাঁচ-
পঞ্চমীতে এসে তুমি
সুন্দর মনে শান্ত স্বভাবে,
জীবন নামের গাড়িটাকে
চালাতে হবে এই ভেবে,
গড়তে লাগলে অর্থকরী আর ঘরবাড়ি,
সুখে দিন কাটাবে বলে,
সহধর্মিণী করলে সাথী।


ছয়-
ছয়তে তোমার পা যখন,
জীবন নামের গাড়িটা তখন,
চলতে লাগল ছিমছাম।


সাত-
লাকি নাম্বার সাত-এ এসে,
সুন্দর করে জীবনটা সাজিয়ে,
সাথী করে সুখটাকে,
দিন কাটালে সুখনীড়ে।


আট-
অষ্ট লিখতে একটু কষ্ট,
আটে এসে তাই বলে,
দেহ-মন তোমার,
একটু আধটু নষ্ট হয়ে,
পড়ে আছো কষ্টের ঘরে।


নয়-
এক থেকে নয়তে এসে,
চারিদিকে দেখছ শুধু,
নাই আর নাই।


শূন্য-
জীবনটাকে চালাতে তুমি,
করলে অর্থকরী আর জায়গা-জমি।
অবশেষে শূন্য হাতে-
মাটির ঘরকে ঠিকানা করে,
চলে যাবে নিঃস্ব হয়ে।