ছেলেটা একটু পাগল ছিল...
সে চাইতো না তার স্ত্রী রাণী হোক
লোকে তার স্ত্রীকে রাণী বলুক
তাই সে রাজা হয়ে স্ত্রীর থেকে চলে গেল দূরে
সব যোগাযোগ ছিন্ন করে দিয়ে,
তারপর সাম্রাজ্য বিস্তারে দিল মন।


বেচারা স্ত্রী ফুঁফিয়ে কাঁদে মুখ লুকিয়ে অন্ধকারে
চালের ঘরে বন্ধ দ্বারে
এদিকে রাজা ছুটিয়ে ঘোড়া
বাগিয়ে ধরে তলোয়ার জোড়া
রক্তে ঘামে ভিজে একসা
অবশেষে উঠল বেজে শঙ্খধ্বনি,জয়ের কাঁসা।


জয়ের পর জয়
গড়ে উঠল সাম্রাজ্য।


ফিরে এল স্ত্রীর কাছে
গোলাপ নিয়ে বসল পাশে
হাত দু'খান ধরে বলল প্রিয়ে
কেমন আছো আমার হিয়ে?
গাল বেয়ে স্ত্রীর চোখ ঝরে যায়
বুকের কথা মুখে আটকায়,
বললো,কেমন আছেন আপনি?
অবাক চোখে দেখল সবে বীরের চোখে পানি!
বীরেন্দ্র তাহার পকেট হতে
স্ত্রীর ফটোখান চুমিয়া ঠোঁটে
বললো,তুমি ভালো নেই জানি,
মনে মনে কক্ষনো প্রেমা তোমায় ভুলিনি!


এসো প্রিয়ে কাছে এসো,
চলো বসিবে সিংহাসনে
আজ আর তুমি নও রাণী,
তুমি আজকে সাম্রাজ্ঞী,
হাঁটু গেড়ে গোলাপ দিয়ে
কহিল সম্রাট প্রেমের বাণী।।