গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বাড়িয়ে দিই হাত; ছুঁয়ে দেখতে পারি না আকাশ, দেখতে পারি না মেঘ!
তুমুল হলুদ রঙে আলোকিত অন্যঘর; বুকের ভেতর বাজে হাহাকারের চরাচর!
বাবাকে ফোন করে বলি, শৈশব! কী অনেক দূরে ফেলে এসেছি!
বাবা শোনান , জীবনের গান!
তারপর, ভুলে যাওয়া কোন সুরের প্রতি আকুল আহবানে
তুমি কিংবা অন্যকেউ ফিসফিস করে কবিতা বলে যায় !
কান পেতে শুনতে গিয়ে দেখি, ক্লান্ত শহরে
স্মৃতিতে জড়ানো কেবল একটি হাসিমুখ!
গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বাড়িয়ে দিই হাত;
চারিদিকে বাতাসের স্পর্শ ছাড়া কেবলই শুন্যতা!
এরপর বিরতিহীন ট্রেন হঠাৎ থেমে জানিয়ে যায়, একশত বছর কেটে গেছে, ফিরে যেতে হবে!
নীলফুলের উদ্যান, নীলচে বাড়িতে একদিন
এসেছিলাম দু'হাত বাড়িয়ে!
গ্রিলের ফাঁক দিয়ে ছুঁয়ে গিয়েছিলাম তোমার হৃদয়!
তোমাকে ভালোবাসা ছাড়া, অসাধারণ কিছু করার ছিল না ,
তাই যেতে যেতে জানিয়ে গেলাম,
মানুষের সম্পদ অন্তরে থাকে, পকেটে নয়!
দরজা খুলছে, আলো ধীরে ধীরে তার জায়গা ফিরিয়ে নিচ্ছে, যেতে হচ্ছে তোমাকে রেখেই!
আনন্দের ছোট্ট নীলপ্রজাপতি হাতে এসে বসেছে,গ্রিলের ফাঁক দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছি হাত, যেন এ হাত ধরেই চলে যাওয়া যাবে চিরবসন্তের দেশে; তবে কি প্রার্থনা কবুল হলে তুমি ফিরবেই